Image description
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।

প্রশ্ন: আপনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকে এই বিভাগের নীতি উপদেষ্টা পদে ছিলেন। সরকারে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অভিজ্ঞতা কেমন?

উত্তর: এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেকগুলো দপ্তর, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থা এবং কোম্পানি আছে। এই মন্ত্রণালয়ের কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। আমার উপলব্ধি হচ্ছে, চাইলে এখানে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান, জীবনমান উন্নয়নসহ নানা দিকে অনেক কিছুই করার সুযোগ আছে।

প্রশ্ন: আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যয় অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরেই মোবাইল কলরেট এবং ইন্টারনেট ডেটার দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল। তার কী হলো?

উত্তর: ডেটার দাম কমাতে বললে আইএসপি ও মোবাইল ইন্টারনেট

প্রোভাইডাররা পাল্টা কিছু সুবিধা চেয়েছে। আমরা সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এখন সেই সুবিধাগুলো আগে দিচ্ছি। কিছু দেওয়া শুরু করেছি। কিছু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা আইএসপি এবং আইআইজির মূল্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে লেয়ারে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির

এরপর পৃষ্ঠা ৪

ব্যান্ডউইডথ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এসব উদ্যোগের পরে আমরা দাম কমানোর লক্ষ্যে আবার আলোচনার টেবিলে বসব। মনে করছি, এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রথম একটা ফলাফল পাব।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাস্তবতায় ইন্টারনেট সেবা নিয়ে বড় কোনো সমস্যা ছিল না। তাহলে দৃশ্যত ব্যয়বহুল স্টারলিংক আনার কি দরকার ছিল? অনেকে বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে তড়িঘড়ি করে এটা আনা হচ্ছে।

উত্তর: প্রথমত হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন আসার আগেই আসলে এর প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। সুতরাং এর সঙ্গে ট্রাম্প সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয় বিষয়টা হচ্ছে, (ইন্টারনেট নিয়ে) বড় অভিযোগ ছিল না, আবার ছিলও। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের যে ব্যয়, তা দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় সামান্য বেশি, খুব বেশি নয়। আবার বৈশ্বিক মানদণ্ডে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার দাম কম। ব্যয়ের ব্যাপারটা আপনি কিছুটা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু মূল বিষয়টা হচ্ছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মান বৈশ্বিক বিবেচনায় একেবারেই নিচু। এই মানের ইন্টারনেট নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ী মহল, ফ্রিল্যান্সার বা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। আমাদের প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্কের ঘাটতি এবং লোডশেডিংয়ের সমস্যা আছে। এই সমস্যাকে রাতারাতি দূর করা যাবে স্টারলিংকের মাধ্যমে।

প্রশ্ন: স্টারলিংককে তো অনেক ব্যয়বহুল বলা হচ্ছে। তা কি আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে?

উত্তর: এখানে সেবার মানের গুরুত্বটা অনেক বেশি। আমাদের একজন ফ্রিল্যান্সার যদি গ্রামে বসে মাসে দুই হাজার ডলার আয় করেন, তাহলে ৫০০ টাকার মানহীন ইন্টারনেটের চেয়ে ৫ হাজার টাকার উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট তাঁর জন্য বেশি দরকার। স্টারলিংকের দামটা এখনকার আইএসপিদের সেবার দামের কয়েক গুণ বেশি হলেও আমার মনে হয়, আমাদের প্রিমিয়াম কাস্টমাররা তা নিয়ে ভাববেন না। কারণ, তাঁদের দরকার নিরাপদ এবং উচ্চগতির মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাসংক্রান্ত দুটি বড় বিতর্ক রয়েছে। একটি হলো সরকারের আড়ি পাতার সুযোগ, অন্যটি ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ রাখা। স্টারলিংকও কি এসবের আওতায় থাকবে?

উত্তর: ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সুযোগ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য রাখছি না। আমরা আইনি সংস্কারগুলো এমনভাবে করছি, সরকার এবং বেসরকারি পক্ষ—কেউই যেন ইন্টারনেট আর বন্ধ করতে না পারে। আমরা টেলিযোগাযোগ আইন, ২০১০ সালের সংশোধনীটা বাতিলের কথা সক্রিয়ভাবে ভাবছি। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের বিষয়টা উঠিয়ে দেওয়া হয়। এটা বাতিল করা গেলে ইন্টারনেট বন্ধকারী কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের মুখোমুখি হতে হবে। সুতরাং ইন্টারনেট বন্ধ প্রশ্নে আর কোনো ধরনের সুযোগ রাখছি না। তা ছাড়া আমরা সাইবার নিরাপত্তা আইনে ইন্টারনেটকে নাগরিকের অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি।

আড়ি পাতার বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। মূল বিষয়টা আড়ি পাতা নয়, আসলে তা আইনানুগ কি না। আইনানুগ আড়ি পাতা রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আইনানুগ আড়ি পাতার বিষয়টি স্টারলিংকের জন্যও প্রযোজ্য হবে। তবে আমরা প্রয়োজন মনে হলে টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন করে আড়ি পাতার সুযোগের যাতে অপব্যবহার করা না যায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: আড়ি পাতা নিয়ে কার কাছে জবাবদিহি করতে হবে, কিসের ভিত্তিতে কার ওপর আড়ি পাতা হবে—তা কারও কাছে স্পষ্ট নয়। এসব ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা হবে কি না?

উত্তর: আইনগতভাবে আড়ি পাতার জন্য বাংলাদেশে আদালতের কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা উচিত। টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির স্বাধীনতার কথা এসেছে। আমরা বলছি, বিটিআরসিকে স্বাধীনতা আমরা তখনই দিতে পারি, যখন এটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের কোনো এক বা একাধিক কর্তৃপক্ষের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি। একটা সম্ভাব্য উপায় হচ্ছে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিআরসি জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের কাছে জবাবদিহি করবে। এখন দুই কক্ষ না থাকলেও সংস্কার প্রস্তাবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলা হচ্ছে। তবে এটা টেকনিক্যাল বিষয়। সংসদের উচ্চকক্ষে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ থাকবে কি থাকবে না, তা অনিশ্চিত। সে জন্য আমরা বলছি, দুই স্তরের জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকতে পারে। একটা হচ্ছে, সংসদের উচ্চকক্ষ। পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আইসিটি টেলিকমিউনিকেশনে একটা মনিটরিং সেল করা যেতে পারে। লাইসেন্সের যে শর্তগুলো আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, সেগুলো এ সেল মনিটরিং করবে।

প্রশ্ন: ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে এয়ারটেলের সঙ্গে স্টারলিংকের চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশে কোন কোম্পানির সঙ্গে তাদের চুক্তি হতে যাচ্ছে?

উত্তর: ভারতে কাদের সঙ্গে স্টারলিংকের চুক্তি হয়েছে, আমি জানি না। বাংলাদেশের বিষয়েও আসলে আমরা বিস্তারিত জানি না। কারণ হচ্ছে, স্টারলিংক ইজ ফ্রি টু চুজ ইটস ডিস্ট্রিবিউটর (স্টারলিংক এ ব্যাপারে স্বাধীন)। আমরা জানি যে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে স্টারলিংক একটা ঐকমত্যে এসেছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু প্রকাশ করা ব্যবসায়িক গোপনীয়তার নীতির কারণে আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রশ্ন: আপনি দীর্ঘ সময় সেবাগ্রহীতা হিসেবে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতটা দেখেছেন, এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও দেখছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দীর্ঘ শাসনকালে আইসিটি খাতে কোন দরকারি কাজগুলো করেনি, যা খুব সহজে করা সম্ভব ছিল?

উত্তর: যেমন ধরুন, ফাইভ-জি রেডিনেস। আমাদের ৬৫ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার ফাইবারের আওতায় আসেনি। আমাদের ফাইবার ব্যাকবোন মোবাইল কোম্পানির জন্য খুব উপযুক্ত নয়। আমাদের সিডিএম সার্ভারগুলো বা ক্যাশ সার্ভারগুলো ভারতে আছে। এগুলো বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল। তাদের নীতিগত ভুলের কারণে বাংলাদেশে যা ছিল, তা-ও ভারতে চলে গেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমি বলব, এখানে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ব্যবসা বিকাশের অনুকূল ব্যবস্থা করা হয়নি। মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন খাতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়নি। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত মূলত এখনো ভয়েস এবং ডেটা কল নির্ভর। বিগত সরকার এই খাতে লাইসেন্সিং থেকে আয় করার চেষ্টা করেছে। কিছু মনোপলি মার্কেট তৈরি করেছে। কিন্তু বৈশ্বিক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আর ব্যবসার যে গতিপথ, তা আমরা পুরোপুরি মিস করেছি।

প্রশ্ন: আমাদের ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ ভারতনির্ভর। এই ভারতনির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

উত্তর: ভারতনির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে একটা পলিসি করেছি। আইটিসিকে সংকুচিত করার জন্য আমরা ‘ফিফটি ফিফটি’ ডিলে গিয়েছি। যার কারণে আমাদের টোটাল ইন্টারনেটের অন্তত অর্ধেক বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। এর বাইরে আমরা সাবমেরিন কেবলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি সি-মি-উই ৬ কেবল সিস্টেমে আমাদের যে বিশাল ২০ টেরাবাইটের মতো অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি আছে, সেটার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।

প্রশ্ন: পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি?

উত্তর: বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। অভ্যন্তরীণ বাধা আছে, নীতিগত বাধা আছে। আমাদের প্রতিটা দপ্তর ও সংস্থাকে আমরা নীতিবিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছি। সেগুলো বাস্তবায়নের বাধাগুলো নিয়ে সমীক্ষা করতে বলেছি। বাধা অতিক্রম করার জন্য যে মানসিক দৃঢ়তা লাগে, তা-ও আমাদের আছে।

প্রশ্ন: এখনকার আলোচিত বিষয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী? বিগত সরকার এআই প্রয়োগ আইন তৈরির কাজ শুরু করেছিল...।

উত্তর: পরিকল্পনা আছে। তবে আমরা না বুঝেশুনে এগোতে চাই না। সে জন্য জাতিসংঘের ইউনেসকোর সঙ্গে এআই রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট মেথডোলজি নিয়ে কাজ করছি। এটা বিশ্বের ৭০টা দেশে চলছে। প্রক্রিয়াটা শুরু হওয়ার পরে আমরা তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পলিসি ফিডব্যাক পাব। তারপর আমরা এআই নিয়ে কাজ করা শুরু করব।

প্রশ্ন: মোবাইল অপারেটররাও আইএসপি লাইসেন্স দাবি করছে। গ্রামীণফোন এরই মধ্যে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। এটা নিয়ে আইএসপি এবং মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে একধরনের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

উত্তর: আমরা এটা নিয়ে কারিগরি সমাধানের দিকে যাব। মোবাইল ইন্টারনেট থেকে রিপিটারের মাধ্যমে আইএসপি সেবা দেওয়া হলে তা স্পেকট্রাম নয়েজ তৈরি করে। যে পরিমাণ নয়েজ আমি তৈরি করছি, তার বিপরীতে যদি পর্যাপ্ত আয় না হয়, তাহলে মনে হয়, মোবাইল অপারেটরদের সেদিকে যাওয়া ঠিক হবে না। আমরা বিষয়টা কারিগরিভাবে আবার বিশ্লেষণ করে দেখব। সমস্যা হলে সে পথে যাব না। আমি মনে করি, আইএসপিগুলোর ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

প্রশ্ন: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, বিটিআরসি লোকদেখানো গণশুনানি করে থাকে...।

উত্তর: এ বছর যে গণশুনানি হবে, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, তা লোকদেখানো হবে না। মানুষের যে মতামত, অংশীজনদের যে মতামত, তাকে নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

প্রশ্ন: টেলিযোগাযোগ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ এবং খাতভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি উঠেছে। এটা কবে নাগাদ হতে পারে?

উত্তর: আমরা এটা করব। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শ্বেতপত্র কমিটি তৈরি করব। ইতিমধ্যে আইসিটিতে আমরা শ্বেতপত্র কমিটি তৈরি করে ফেলেছি।

প্রশ্ন: সাইবার সুরক্ষা আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই আইনে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করা হবে। কিন্তু মানবাধিকারকর্মী ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, এখনো এই বিতর্কিত আইনে হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে।

উত্তর: সেটা এই আইনে হচ্ছে না, আগের আইনে হচ্ছে। এই (নতুন) অধ্যাদেশটা পাস হয়নি এখনো। গেজেট আকারে পাস হয়নি। আমরা নতুন যে আইনটা করেছি, সেখানে পরিবর্তন এনেছি। গত শুক্রবারই সর্বশেষ আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, আইনটির বর্তমান সংস্করণে নিবর্তনমূলক বা নিপীড়নমূলক কোনো ধারা নেই। এটা একটা নাগরিকবান্ধব এবং প্রযুক্তিবান্ধব আইন হতে যাচ্ছে।...আইনের বিষয়গুলো আসলে সময়সাপেক্ষ, অনেক কারিগরি এবং স্পর্শকাতর। সে জন্য সময় লাগছে। আশা করি, এপ্রিলের মধ্যেই আমরা এটা পাস করতে পারব।