Image description

লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলায় কলেজ ছাত্রীকে ‘অনৈতিক প্রস্তাবের’ অভিযোগ উঠেছে এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার মহিষখোঁচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রবিউল আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর বাবা। জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ১৩ মার্চ তিনি অভিযোগ দেন।

অভিযোগ বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি কমানোর জন্য আবেদন করেন ওই শিক্ষার্থী। এতে অধ্যক্ষ রবিউল তাকে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। ৯ মার্চ ইফতার ও নামাজের পরে শিক্ষার্থী অধ্যক্ষকে মোবাইল ফোন কল করলে তিনি তাকে রাতে দেখা করতে বলেন। শিক্ষার্থী পরিবারকে বিষয়টি জানায়।

পরদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষক ও কয়েকজন সহপাঠীকে জানান। লোকলজ্জার কারণে অভিযোগ দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয় বলে শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় অভিভাবক রহমত আলী বলেন, অভিযোগটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত। যাতে সত্য উদঘাটিত হয় এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকে।

আরেক অভিভাবক হোসেন আলী বলেন, স্কুল-কলেজের একজন শিক্ষক পিতৃতুল্য। সেই পিতার কাছে সন্তান যদি হেফাজতে না থাকে তাহলে সেই পিতাকে ঘৃণা করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। আমরা অভিভাবক হিসেবে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ রবিউল বলেন, আমি এমন কোনো কথা বলিনি, এটি ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এর বাইরে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের কাছে করা হয়েছে। এর অনুলিপি আমাদের দেওয়া হয়েছে। ডিসি স্যারের সিদ্ধান্তের উপর বিষয়টি নির্ভর করবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পরই পুলিশ সুপারকে দিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।