Image description
সালমান এফ রহমানের ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দুটি ব্যাংকে দুটি হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি ও বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির লেনদেন করার তথ্যও মিলেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব দ্য ইউনাইটেড আরব আমিরাত (সিবিইউএই) ও এন্টি মানি লন্ডারিং কমিটি অব দুবাই আরও বিশদ তদন্ত করছে। তার নামে থাকা আরআর ট্রেডিং কোম্পানির সন্ধানও পাওয়া গেছে। এই কোম্পানির মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করে সেগুলোর অর্থ দেশে না এনে বিদেশে পাচার করেছে। পাশাপাশি ওই কোম্পানি থেকে পণ্য আমদানির এলসি খুলে অর্থ পাঠিয়েও পণ্য দেশে না এনে টাকা পাচার করেছে। এসব বিষয়ে আরও বিশদ তদন্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেই নয়, বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করা হয়েছে। এছাড়া সালমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে লন্ডনে ও দুবাইয়ে আরও একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বিএফআইইউর তদন্তে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেক্সিমকো গ্রুপের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এসব সম্পদের অবস্থান, কি অবস্থায় আছে সেগুলো এখন সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বেক্সিমকো বেনামে ৫টি শেল কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলো তারা মালিকানার প্রকৃত পরিচয় গোপন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসব বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিচ্ছে। পাশাপাশি শেল কোম্পানি ও পাচার করা সম্পদের তথ্য উদ্ঘাটনে ওইসব দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জন্য ওইসব দেশের আইন পর্যালোচনা করে নথিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দন্তে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে দুবাই ও লন্ডনে যে কোম্পানিতে পণ্য রপ্তানি করা হতো তার মালিকানা ছিল সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানের নামে। অর্থাৎ পিতা পণ্য রপ্তানি করতেন ছেলের কোম্পানিতে। একই গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য রপ্তানির কারণে তারা যোগসাজশ করে পুরো অর্থ দেশে না এনে বিদেশে পাচার করে দিতেন। এখনকার তদন্তে ছেলের কোম্পানিতে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি ভাজিতা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের কোম্পানিতেও পণ্য রপ্তানির তথ্য মিলেছে। ওইসব অর্থও যোগসাজশ করে পুরো অর্থ দেশে না এনে বিদেশে পাচার করে দিতেন। এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের বেনামি কোম্পানি ৫টি শেল কোম্পানির মাধ্যমে তারা পণ্য আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করতেন। এসব কোম্পানির মাধ্যমেও বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।