Image description

ভুয়া পাশ ব্যবহার করে হাজতখানায় প্রবেশের অভিযোগে এক নারী ও এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির জিম্মায় ও মহিলাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয় আদালত।

 

সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বশির উল্লাহ নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী দুই হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া পাশ দিয়ে খাদিজা আক্তার মলি নামের এক নারীকে তার হাজতখানায় থাকা স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু বিষয়টি হাজতখানার ওসি ফারুক হোসেনের নজরে এলে উভয়কে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়।

পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান ঘটনা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অভিযুক্তদের কড়া ভাষায় সতর্ক করেন।পরে বিচারক ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র এজিএস মো. মুকুলের জিম্মায় হস্তান্তর করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার ওসি ফারুক যুগান্তরকে বলেন, এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী দুই হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া পাশ দিয়ে এক নারীকে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি তাদের আটক করে ১১ নম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাই। আদালত ওই নারীকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। আর আইনজীবীকে বারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনার বিষয়টি অবগত হয়েছি। এই আইনজীবী মুচলেকা দিয়েছে আর জীবনে এমন কাজ করবে না। পরে তার সিনিয়রের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।