
গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়া চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিংমল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, "শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।" গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো. জাহাঙ্গীর।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ অভিযানে গেলে সাজ্জাদ তাদের দিকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। এ সময় তার গুলিতে দুইজন সাধারণ মানুষ আহত হন।
হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন, চান্দগাঁও এলাকায় পরিচিত ‘ছোট সাজ্জাদ’ বা ‘বুড়ির নাতি’ হিসেবে। এই ‘ছোট সাজ্জাদ’ হলেন হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী।
দুই যুগ আগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে দিনের বেলায় আড়াআড়ি বাস রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবাহী মাইক্রোবাস আটকে গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। তার অনুসারী হিসেবে তার পক্ষে বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজি করেন ছোট সাজ্জাদ।
গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকালে চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় দোকানে বসে চা পানের সময় তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে কালো রংয়ের একটি গাড়িতে করে আসা লোকজন।
ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় তাহসিনের বাবার করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে।
এছাড়া চাঁদার জন্য বিভিন্ন ভবনে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সাজ্জাদ জড়িত বলে পুলিশের ভাষ্য। আত্মগোপনে থাকা সাজ্জাদ গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ফেইসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফ হোসেনকে পেটানোর হুমকি দেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি সাজ্জাদের সন্ধান চেয়ে ‘উপযু্ক্ত’ পুরস্কার ঘোষণা করে সিএমপি।