Image description

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার এক কিশোরী নিজেকে রক্ষা করতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীর দাবি, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। এতে গুরুত্বর আহত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- চালক নাম ইমন খান (২৩) ও মিঠু মিয়া (২৫)। তারা দুজনেই দিরাইয়ের জকিনগর গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়,  গত বৃহস্পতিবার বিকালে দিরাই বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। এ সময় অটোরিকশাটিতে চালক বাদে আরও দুজন ব্যক্তি ছিল। বাড়ির রাস্তায় না নিয়ে অন্য পথে যাচ্ছিল অটোরিকশা চালক। যানটি শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা অটোরিকশার পর্দা টেনে কিশোরীর হাত মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষার্থে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত কিশোরীকে উদ্ধার করে তার স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে ভর্তি করান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলন্ত অটোরিকসা থেকে সড়কে পড়ে ওই কিশোরীর ডান চোখ, কপাল, গাল, হাত থেতলে গেছে।

দিরাই থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, খবরটি শোনার পরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্ত করে অটোরিকশা চালকসহ অভিযুক্তদের আটকে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চালক ও এক যাত্রীকে আটক করে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি ভিকটিমের খোঁজখবর নিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন।’