
গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়িতে পুলিশের তল্লাশিতে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। একইসাথে গাড়িটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে তল্লাশির সময় এ টাকা ও গাড়ি জব্দ করা হয়।
এর আগে রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারকে থামার সিগন্যাল দেয়া হয়। এ সময় প্রাইভেটকারে টাকাগুলো পাওয়া যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একরামুল হক, সিংড়ার ইউএনও মাজাহারুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া) সার্কেল সঞ্জয় কুমার সরকার, সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে যায়।
গাড়িতে ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক জানান, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে কালো ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পায় পুলিশ। গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম গাড়িতে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকাসহ তাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে আটক এলজিইডির প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের দাবি, তিনি জমি বিক্রির বৈধ টাকা নিয়ে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন।