Image description
 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে বীরপ্রতীক সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান তার গুম হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আয়নাঘরে কাটানো সময় ছিল ভয়াবহ, যেখানে বেঁচে থাকাটাই ছিল কঠিন। তার মতে, আয়নাঘরের তুলনায় কাশিমপুর কারাগার ছিল বেহেশতের মতো।

তিনি বলেন, "আমি যখন কাশিমপুর কারাগারে ছিলাম, তখন মনে হয়েছিল আমি বেহেশতে আছি। সেখানে অন্তত বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুযোগ ছিল।"

আয়নাঘরে তার দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "সেখানে আলো-বাতাসহীন ছোট্ট একটি জায়গায় আমাকে রাখা হয়েছিল। আমি ছেঁড়া গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরতাম, যা আমার কেয়ারটেকারও পরতো না। নিম্নমানের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হতো, যা অন্য কেউ আগেই ব্যবহার করত। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা ছিল কঠিন।"

 

তিনি আরও বলেন, "তারা আমাকে সম্বোধন করতো স্যার বলে, ওই জায়গায়তো স্যার বলার কোনো অবকাশ নাই, তারা তো ছিল হাসিনার লাঠিয়াল বাহিনী।'"

 

বিচারব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, "আমাদের বিচারব্যবস্থার সংস্কার দরকার। পুরান ঢাকায় একটি মাত্র বিশেষ আদালত রয়েছে, যেখানে সাক্ষীদের নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। আদালতের তারিখ পরিবর্তন হলে বারবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।"

তিনি প্রস্তাব দেন, "ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত চারটি আদালত স্থাপন করা উচিত। সাভার, মিরপুর বা উত্তরা এলাকায় আদালত স্থাপন করলে মানুষের জন্য বিচারপ্রক্রিয়া সহজ হবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন।"