
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর তিনি এ কথা বলেছেন।
কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংযুক্তির হুমকি প্রত্যাখ্যান করে অটোয়ার রিডো হলের বাইরে জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা কখনোই, কোনো আকারে বা আকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না। আমরা মৌলিকভাবে ভিন্ন একটি দেশ।’
ব্যাংক অফ কানাডা ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সাবেক এই গভর্নর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কানাডা সম্মান আশা করে। একইসাথে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে ‘একসাথে কাজ করার’ উপায় খুঁজে পাবে।
এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে কার্নি সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, সাবেক সরকারি হাউস নেতা কারিনা গোল্ড ও সাবেক সংসদ সদস্য ফ্রাঙ্ক বেলিসকে ৮৫.৯ শতাংশ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এর আগে কোনো নির্বাচনে জেতার অভিজ্ঞতা নেই তার এবং হাউস অফ কমন্সে তার কোনো আসন নেই, যা একজন প্রখানমন্ত্রী হিসেবে তাকে কানাডার ইতিহাসে বিরল করে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার বাণিজ্য যুদ্ধ এবং পার্লামেন্টে আসন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি হাউস অফ কমন্সের অধিবেশনে যোগ দিতে পারছেন না এমন অদ্ভুত বাস্তবতার মধ্য দিয়ে কার্নি আগামী দিনে একটি নির্বাচন ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কানাডার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক আক্রমণের প্রভাব এতটাই বিস্তৃত ও ক্ষতিকর যে আগামী মাসগুলোতে অন্যান্য সব বিষয়কে তা ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বহাল থাকে, তাহলে কানাডার ভঙ্গুর অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং একের পর এক অস্থিরতার সূচনা করতে পারে।
শুক্রবার সকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘কানাডা অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হলে দেশটির জন্য আরো ভালো হবে।’ তার এ মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে কার্নি বলেন, ‘এটা পাগলামি। আপনি শুধু এটুকুই বলতে পারেন।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান