
তহবিল ঘাটতির কারণে আগামী মাস থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তার তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে বর্তমানে বিতরণ করা বেশিরভাগ খাদ্য রেশন এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও দেশটি সামরিক সরকার এবং তার শাসনের বিরোধী শক্তিশালী মিলিশিয়াদের মধ্যে তিক্ত লড়াইয়ের কারণে সৃষ্ট মারাত্মক মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
ডব্লিউএফপি বলছে, মিয়ানমারে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে তাদের ৬০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে এবং তার অংশীদারদের অতিরিক্ত তহবিল চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, এই কাটছাঁটের ফলে মিয়ানমারজুড়ে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় এক লাখ মানুষ রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডব্লিউএফপি আসন্ন শুষ্ক মৌসুম (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যখন খাদ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে।
ডব্লিউএফপির এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে বিশ্বজুড়ে মানবিক প্রচেষ্টায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
অ্যাক্টিভিস্ট এবং থাই কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি সহায়তা কর্মসূচির ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯০ দিনের স্থগিতাদেশের ফলে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য অন্যান্য পরিষেবা কমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এশিয়াভিত্তিক ত্রাণ খাতের এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র মূল অবদানকারী। ট্রাম্প প্রশাসন ও ডব্লিউএফপির নতুন কাটছাঁট একটি ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে। এতে প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।