
রাজধানীর কাওরান বাজার সিগন্যালের চারপাশে কলাবাগান, তেজগাঁও, হাতিরঝিল ও শাহবাগ থানার সীমানা।
রাজধানীর চারটি থানা-ই নয়, অধিকাংশেরই রয়েছে সীমানা-বিভ্রান্তি। একই জায়গায় একাধিক থানার সীমান্ত হওয়ায় অপরাধ ঘটলেই এক থানা দায় চাপায় আরেকটির ওপর। আবার সবচেয়ে কাছের থানা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। কিন্তু সীমানার বাইরে থাকায় যেন সেখানে যেতে মানা। আর এ সুযোগকে ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর সিগন্যাল পর্যন্ত বেড়েছে ছিনতাইকারী ও টানাপার্টির দৌরাত্ম্য। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এ এলাকায় ছিনতাইকারী, টানাপার্টির কবলে পড়ে অনেকে খোয়াচ্ছেন মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ অন্যান্য মালামাল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সড়কের পাশে ওঁত্ পেতে থাকে ছিনতাইকারী ও টানাপার্টির সদস্যরা। সিগন্যাল বা যানজটে বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস বা অন্যান্য যানবাহন থামলেই ছিনতাইকারীরা ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দ্রুত অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা, বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ রীতিমতো অসহায়। কারণ রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা রেখে ছিনতাইকারীদের পেছনে ছোটা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ সিগন্যাল মোড়ে পুলিশের টহল এখন নেই বললেই চলে।
তারা জানিয়েছেন, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশাচালক তিন জন যাত্রী নিয়ে বাংলামোটরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি কাওরান বাজার সিগন্যালে আটকে যান। ঠিক এই মুহূর্তে এক ছিনতাইকারী সিএনজি অটোরিকশার পেছনের বাম্পারের ওপর উঠে ধারালো ছুরি দিয়ে সিএনজির ওপরের ছাউনির এক ফুট অংশ কেটে ফেলে। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশার ছাউনি কাটলেও ভেতরের অংশে থাকা লোহার জালি থাকায় ঐ ছিনতাইকারী ভেতরে হাত ঢোকাতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় সরাসরি ছুরি লোহার জালি কেটে ফেলে। এতে অল্পের জন্য ছুরিকাঘাতের হাত থেকে রক্ষা পান অটোরিকশার তিন সিটের মাঝে বসা যাত্রী।
তারা আরো জানান, সিএনজি অটোরিকশার ছাউনি কেটে মোবাইল ছিনতাই প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু পথচারী দেখেও প্রাণের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসে না।
এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘কাওরান বাজার সিগন্যালটি চার থানার সীমানায়। আমার থানার যে অংশ, সেখানে আমরা নিরাপত্তার চেষ্টা করি। তবে নানা কারণে সেটা পর্যাপ্ত নয়।