
যারা শাহবাগীদের বন্ধু তারা বাংলার শত্রু। কেউ যদি শাহবাগ নিয়ে নতুন রাজনীতি করতে চায় তার জিভ (জিহ্বা) টেনে ছিঁড়ে ফেলবো বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টা থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, ধর্ষকের বিচার ও লাকী আক্তারকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাত ১১ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি শাহবাগীতা শব্দ সম্পর্কে বলেন, শাহবাগীতা মানে আয়না ঘর, গুম, খুন, ধর্ষণ। শাহবাগ কায়েম করেই এ দেশে গুম খুনকে বৈধ করা হয়েছিল।
এর আগে রাত সাড়ে ৯ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী লাকী আক্তারকে গ্রেফতার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ওসমান হাদী বলেন, 'নতুন কোনও কোনও দলে এখন শাহবাগীদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যখন দরকার ছিল তখন তারা শাপলাকে ডাকছে, পিলখানাকে ডাকছে, তৌহিদী জনতাকে ডাকছে আর যেই ক্ষমতায় গিয়ে উপদেষ্টা হয়েছে, এখন শাহবাগ টানছে- সেটা হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আজকের এই শাহবাগে যে শাপলারা উপস্থিত হয়েছে তারা সবাই সেদিনের শাপলার মত হুজুর না। যদি শাহবাগ নিয়ে নতুন রাজনীতি করতে চাও, আওয়ামী লীগরে ফিরিয়ে আনতে চাও, জিব টাইনা ছিঁড়ে ফেলবো। যদি সাহস থাকে ফেসবুকে পোস্ট না দিয়া শাহবাগে আয়। আমাদের বুকের ওপর দিয়ে তোদের শাহবাগ বানানো লাগবে। বাংলাদেশে আর কোনো শাহবাগীতা চলবে না। শাহবাগীতাকে রুখে দিবে বাংলাদেশের জুলাইয়ের জনতা।'
ওসমান বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত লাকী আক্তারকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি না করা হবে ততক্ষণ লড়াই চলবে। এসময় তিনি অতিদ্রুত আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধসহ ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। পাশাপাশি দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত শাহবাগেই অবস্থানের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের এই নেতা।