
Sadiqur Rahman Khan (সাদিকুর রহমান খান )
শাহবাগ এমনি এমনি এক্টিভ হয়নি। শাহবাগকে এক্টিভ করা হয়েছে বিশেষ একটা কারণে।
আওয়ামী লীগকে নিয়েই ইলেকশন করার ছক দিল্লী থেকে চলে এসেছে।
পেছনের অনেকগুলো শক্তি এই ব্যাপারে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।
এই মুহুর্তে "ভালো" আওয়ামীলীগারদের নিয়ে আওয়ামীলীগকে আপাতত ইলেকশনের মাঠে তোলা হবে।
এরপর আওয়ামীলীগের মিটিং মিছিল বা হরতালে আর কোন বাঁধা দেওয়া যাবে না।
এরপর একে একে আওয়ামীলীগের নেতারা দেশে ফিরে আসবেন। এক বা দুই টার্ম পর কোন এক সুষ্ঠু ইলেকশনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনা হবে। যেমন ২০০৮ সালে আনা হয়েছিল।
স্পষ্ট করে বলছি, এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা ইউনূসের নাই।
তবে এই ক্ষমতা আমাদের তথা জনগণের আছে।
একটা কথা মনে রাইখেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামীলীগকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছিলো। এই উদারতার কাফফারা জিয়া নিজের প্রাণ দিয়ে দিয়েছিলেন।
২০০৯ এ আসার পর তো আর্মি অফিসারদের উপর ম্যাসাকার করলো।
এবার যদি আসতে পারে, আমাদের খুঁজে খুঁজে ওরা খুন করবে। আমরা কেউ বেঁচে থাকতে পারবো না।
কাজেই, উত্তরপাড়া থেকে যেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে এখনই যদি সরব না হন, আমার আপনার মৃত্যুপরোয়ানা জারি হয়ে যাবে।
আওয়ামীলীগের বিচার হওয়ার আগে কোন ইলেকশনে আওয়ামীলীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মিছিল করতে পারবে না। মিটিং করতে পারবে না।
রক্তের দাগ শুকায় নাই। এই রক্তের মর্ম উত্তরপাড়া বুঝবে না, কারণ রক্ত তো আর ওরা দেয়নি। রক্ত দিয়েছি আমরা। এই দায়ও আমাদেরই।
কোন ভালো আওয়ামীলীগ খারাপ আওয়ামীলীগের প্রশ্নে আমরা যেতে চাই না। আমাদের কাছে আওয়ামীলীগের একটাই পরিচয়। আওয়ামীলীগ খুনি। আমাদের ভাই বোনদের হত্যাকারী।
খুনিদের স্থান ইলেকশন না। খুনিদের স্থান কারাগার।
আশার কথা হলো, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রে তাল দেয় নাই। বরং বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক, এইটা বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোরও চাওয়া।
এই চাওয়া নিয়ে অনতিবিলম্বে জাতীয় ঐক্য চাই।
ইলেকশন জুনে হোক, জুলাইয়ে হোক, ডিসেম্বরে হোক, কোন আপত্তি নাই। বাট সেই ইলেকশনে আওয়ামীলীগ থাকতে পারবে না। নৌকা মার্কা থাকতে পারবে না, এইটা হলো কথা।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে আনার চেষ্টা যে করবে,তাকেই জাতীয় শত্রু ঘোষণা করতে হবে। এক জুলাই গেছে, প্রয়োজনে আমরা আবার রাস্তায় নামবো। তাও আওয়ামীলীগের ফিরে আসার কোন রিস্ক আমরা নিতে পারবো না। আওয়ামীলীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। যেভাবে ইউরোপ নাজিদের নিষিদ্ধ করেছে।
এর বাইরে গিয়ে ভালো আওয়ামীলীগের মুখোশ পড়িয়ে আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসনের কোন নির্বাচন এই দেশে হতে দেওয়া হবে না।
কেউ যদি আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, আওয়ামীলীগকে রেখে ইনক্লুসিভ ইলেকশন চায়, এবার আর সুশীলতার ধার ধারবো না।
আপা গেছে যেই পথে, তাকে বা তাদেরকেও সেই পথেই যেতে হবে।
লাউড এন্ড ক্লিয়ার।