Image description

সাদিয়া আফরিন ও মাহবুব আলম দম্পতি। দুজনই চাকরি করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি বসবাস করেন মিরপুর পল্লবী এলাকায়। বেতনের টাকা থেকে সঞ্চয় করে ও গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিলেন একটি ফ্ল্যাট। এমন ভাবনার মাঝপথেই হাইপেরিয়ন ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেড (এইচডিডিএল) নামে একটি ডেভলপার কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 

সাদিয়া ও মাহবুব দম্পতিকে বলা হয়, অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় হাইপেরিয়ন কোম্পানির ফ্ল্যাটের দাম কম। এছাড়া রয়েছে কিস্তি ও ব্যাংক ঋণের সুবিধা। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে বিক্রয় কর্মীর প্রস্তাব পছন্দও করেন মাহবুব আলম। তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যেতে চান। একদিন প্রকল্পের জায়গা দেখে পছন্দ করে এককালীন ৩০ লাখ টাকা জমাও দেন এই দম্পতি। 

৮৪ লাখ টাকার ফ্ল্যাটের বাকি টাকা ১৫ বছরের ১৬০টি কিস্তিতে দেওয়ার চুক্তিও করেন। ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ২০২২ সালের জুন মাসে। কিন্তু ২০২৫ সালে এসেও মাহবুব আলম দম্পতি ফ্ল্যাট বুঝে পাননি। কোম্পানির অফিসে গিয়েও পাননি কোনো সদুত্তর। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে বন্ধ পাওয়া যায় হাইপেরিয়ন ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের অফিস। 

পরবর্তীতে ফ্ল্যাট বুঝে পাওয়ার জন্য তারা ডেভলপার কোম্পানিদের সংগঠন রিহ্যাবে আবেদন করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, এই কোম্পানিটি রিহ্যাবের সদস্য নয়। যার কারণে রিহ্যাব থেকেও কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানান মাহবুব আলম। বুঝতে পারেন ভয়াবহ এক প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। উপায়ান্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতারণার অভিযোগে পল্লবী থানায় ২০২৪ সালের মে মাসে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

মাহবুব আলম জানান, মানসিকভাবে খুবই অস্থিরতায় রয়েছেন এই দম্পতি। কষ্টের জমানো টাকায় কিনতে চেয়েছিলেন ফ্ল্যাট। ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব একটুখানি জায়গা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। এখনতো আম-ছালা দুটোই চলে যাওয়ার উপক্রম।

তিনি বলেন, ১৫৫০ বর্গ ফুটের ফ্ল্যাট তুলনামূলক কম দাম দেখে আগ্রহী হয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় ধরা (প্রতারিত) খাবো তা তো চিন্তাতেও আসেনি। অনেক জায়গায় অনেকের কাছে ফ্ল্যাট সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ও হয়রানির বিষয়টি মাথায় রেখেই নানাভাবে যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু মাহবুব আলম দম্পতিই নন, হাইপেরিয়ন কোম্পানির কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন আরও অনেকেই। 

আ.লীগ নেতার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া শামসুল

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, পল্লবীর যে জায়গাতে কোম্পানিটির প্রকল্প হয়েছে সেখানে তার জমি ছিল। সেই জমি মূল দামের চেয়েও অনেক কমে বিক্রি করতে চাপ দেয় সামসুল আলম নামের এক ব্যক্তি। যিনি হাইপেরিয়ন ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান পরিচয় দেন। জমি বিক্রি করতে না চাইলে তৎকালীন পল্লবী এলাকার তৎকালীন এমপি ইলিয়াস আলীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে জমি বিক্রি করতে নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এরপর বাধ্য হয়েই নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে রাজি হন তিনি। সেই টাকাও সম্পূর্ণ পরিশোধ করেনি কোম্পানিটি।

এতোসব অভিযোগ সামনে আসার পর কোম্পানিটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন এই প্রতিবেদক। আর এতেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। অনুসন্ধানে দেখা যায়, পল্লবীর ৭-৮-৯ নাম্বার প্লটে হাইপেরিয়ন সাউথ কর্নার নামের প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানকার দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারী বাংলা আউটলুককে বলেন, এই বিল্ডিং নিয়ে অনেক অভিযোগ দেখেছি। কেউ কেউ ফ্ল্যাট পাননি, কারো ফ্ল্যাট আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এমন অনেক অভিযোগ। তবে শুনছি মালিক অনেক পাওয়ারফুল (ক্ষমতাধর)। তাই কাস্টমাররা (গ্রাহকরা) খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। 

শামসুলের উত্থান যেভাবে

কোম্পানিটির মালিক কাগজে কলমে শরফুন নাহার আরজু। যিনি শামসুল আলমের প্রথম স্ত্রী বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শামসুল আলম ছোটবেলা থেকে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি দীর্ঘদিন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি বাজারে রুটির দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে হামচাপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ইদ্রিস আলী শেখ তাকে পিতৃস্নেহে লালন পালন করেন। তিনি আলমকে দৈবজ্ঞহাটি বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আলম মেট্রিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে পাস করেন। তারপর আলমকে স্থানীয় এমদাদুল হক ভূইয়া ঢাকায় নিয়ে আসেন। সেসময় আলম পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আলম ‘দি টপ মোস্ট’ কোচিং সেন্টার চালু করেন। এভাবে টাকা জমিয়ে একসময় সে হাইপেরিয়ন বিল্ডার্স নামে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাজ শুরু করেন। আর মধ্য দিয়েই তিনি পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। 

প্রতারণায় লায়ন্স ক্লাবের পদ হারান

শামসুল আলম লায়ন্স ক্লাবের সদস্য ছিলেন। একসময় এই প্রথিতযশা ক্লাবের প্রথম ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নরও হয়েছিলেন। তবে লায়ন্সের মতো অলাভজনক সেবামূলক সংস্থার টাকা তছরূপের অভিযোগে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছেন লায়ন্স ক্লাবের বর্তমান প্রথম ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর শংকর কুমার রয়। শামসুল আলমের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পর তিনি এই দায়িত্বে আসেন। 

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে লায়ন্স ক্লাবের এক কর্মকর্তা বাংলা আউটলুককে বলেন, ‘শামসুল আলম তার নিজের এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব পাস হলে জমি কিনে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেন বলে জানান। কিন্তু জমি কেনা থেকে শুরু করে হাসপাতাল নির্মাণের সকল পর্যায়ে দুর্নীতির তথ্য পায় লায়ন্স ক্লাব। পরবর্তীতে ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে হাসপাতাল প্রকল্পে কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শামসুল আলমের সদস্যপদ স্থগিত ও পরে বাতিল করা হয়।’ 

নৌকা নিয়ে এমপি চেয়েছিলেন

হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া শামসুল আলম এরপরে রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। টাকার বিনিময়ে নিতে চান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। একসময় বাগেরহাটের মোংলা অঞ্চলের আওয়ামী নেতা ডা. মোজাম্মেলের হয়ে কাজ করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাকে সরিয়েই টাকা দিয়ে ২০১৪ সালে মনোনয়ন কিনতে চেষ্টা করেন শামসুল আলম। না পেয়ে হতাশ হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। আবার ২০১৮ এর নির্বাচনের আগে আগে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন। কথিত আছে, প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার কাছ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেবারও হতাশ হতে হয় তাকে। 

বদির সহায়তায় কক্সবাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ 

শামসুল আলমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে। তার আপন ছোট ভাই মিন্টু স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শুক্কুর আজাদ প্রকাশ শুক্কুর, রাশেদ আবেদিন সবুজ ও এনামুল গংদের সহযোগিতায় হোটেল/মোটেল দখলসহ কক্সবাজারে শামসুল আলমের যাবতীয় বৈধ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের ইয়াবার বড় মাফিয়া উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি ও হাজি সাইফুল করিমের (২০১৯ ক্রসফায়ারে নিহত) সহায়তায় শামসুল আলম কক্সবাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।  

শামসুল আলমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় গ্রেপ্তারকৃত এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চাপ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে৷ ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিলাল হোসেন নামের এক ইয়াবা কারবারিকে ৩৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে তৎকালীন উখিয়া থানার কর্মকর্তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কাছের লোক ও নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে তৎকালীন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করে দিলালকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন শামসুল আলম। তবে, তার তদবিরের পরেও দিলালকে ছাড়েনি থানা পুলিশ।

এমনকি পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার প্রশাসনিক এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডার অনন্ত সাহার সহায়তায় জয়নাল শেখের ৮টা রুমসহ ২৭ শতক জমি জবরদখল ও কুয়াকাটা সি বিচ এলাকায় অনেক জমি শামসুল আলম অবৈধভাবে দখল করে আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, শামসুল আলম নামে-বেনামে ব্যবসার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারেই ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতোমধ্যে, বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করে জানা যায় বেশ কয়েকটি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করেন শামসুল আলম। এরমধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাংকের হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করেছেন। তারমধ্যে তিনবার ওই অ্যাকাউন্টটি সাসপিশিয়াস ট্রাঞ্জেকশন রিপোর্ট (এসটিআর) দেওয়া হয়। যার ফলে তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট আবার সচল করেন বলে জানায় ব্যাংকটির একজন নির্বাহী। আবার সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি মামলায় তিনি জেল খেটেছেন বলেও জানা যায়। 

৫ আগস্টের পর বিএনপির উপর ভর 

আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী শিকাগো বিএনপির নেত্রী নারগিস জাহান আহমেদের সহায়তায় কক্সবাজারে বিএনপি নেতাদের কাছে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ধরনা দিচ্ছেন। এ ধরনের বেশকিছু অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

দুদকে অভিযোগ

শামসুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ কাজ করার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। 

দুদক কী বলছে

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘পটপরিবর্তনের পরে অনেকের বিষয়েই অভিযোগ এসেছে দুদকে। এর আগে যারা ভয়ে কথা বলতে পারতেন না বা অভিযোগ করতেন না, তারাও এখন অভিযোগ করছেন। আমরা সবগুলো অভিযোগই যাচাইয়ের চেষ্টা করছি। এত অভিযোগ জমা পড়েছে যে, রাতারাতি যাচাই করা সম্ভব না। তবে সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই শেষ হলে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নেব। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। শামসুল আলমের নামে যে অভিযোগ এসেছে তাও যাচাই করে দেখা হবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার উসকানি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শামসুল আলমের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতাকে হত্যার উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। মিরপুর জোনের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শামসুল আলমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শামসুল আলমের বক্তব্য

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে শামসুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তার অফিসে যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের পরে একদিনের জন্যও তিনি অফিসে আসেননি। তার স্ত্রী দুই একদিন এসেছিলেন। এর বেশি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।