Image description

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তার ৬টি ব্যাংক হিসাবে ২৫৭ কোটি ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া গাজীর নামে ৪৪৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, এর মধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় ৪২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এজন্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে দুদকের দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজীকে। তার বিরুদ্ধেও ৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫১৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রূপগঞ্জ থানায় করা স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গত বছরের আগস্টে গাজীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।