Image description

Md. Shakawat Hossain Mamun (মোঃ শাখাওয়াত হোসেন মামুন)

১৯০৫ সনে প্রথম বিমানের প্রটোটাইপ পরীক্ষামূলক ভাবে আকাশে উঠেছিলো তাও একজন যাত্রী নিয়ে। তারপর গতকাল প্রায় ১২০ বছর পর বাংলাদেশের একজন মেকানিক ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বপ্রথম এদেশে তৈরী করা একটি উড়োজাহাজ আকাশে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হয়েছে, তাও আবার ইউটিউব দেখে এবং সেই একজন যাত্রী নিয়ে। আমি তাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই এজন্য যে, সে বুয়েট/ কুয়েট/ রুয়েট ইত্যাদি না পড়ে এ উড়োযান তৈরীতে সক্ষম হয়েছে, তবে এ বিষয়ে আমি তেমন উৎসাহিত নই।
 
আমাদের অনেকে এ নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহিত দেখলাম, কিন্তু আমরা যে বিশ্ব থেকে কমপক্ষে ১২০ বছর পিছিয়ে আছি সেটা কি একবারও ভেবেছি? যারা ১২০ বছর আগে উড়োযান তৈরী করেছিলো তাদের কাছে কোন ইউটিউব বা আধুনিক সরন্জাম ছিলো না। আর আমরা কপি করে ১২০ বছর পরে এমন একটি উড়োযান তৈরী করে মহা আনন্দ নিয়ে ফেসবুকে বাহবা দিচ্ছি, এবং গর্বে আমরা গদগদা!! তবে মানিকগঞ্জের এ ভাইটি আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, আমরা ১২০ বছর পিছিয়ে আছি।
 
সে এটা তৈরী না করলে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার সময়টা আরো বাড়তো বৈ কি। কেন আমাদের ইন্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলি আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার সময়টা কমাতে পারলো না???? আবিস্কার, অন্বেষন, মেধার বিকাশ ইত্যাদি গদবাঁধা পড়াশুনা দিয়ে হয়না, সেটা ওদের কে বুঝাবে??? আসলে আমাদের ইন্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলি শিক্ষিত লেবার তৈরীর কাজে ব্যস্ত; যারা ইলন মাস্ক, নাসা কিংবা মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানীতে হোয়াইট কলার লেবারের মতো চাকুরী করবে, কিন্তু কোন কিছু আবিস্কার করতে পারবে তা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় রাখা হয়নি।
 
বৃটিশরা তাদের কর্মচারী বানানোর জন্য আমাদের এখানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে গেছে সেই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা কোন না কোনভাবে এখনো বিদ্যমান এবং এটাই হয়তো আরো শতবছর চলমান থাকবে। আমাদের এখান থেকে কর্মচারী তৈরী হবে, কিন্তু আবিস্কারক/ উদ্ভাবক নয়।
 
যাই হোক, বাবারা তোমরা নতুন কিছু করো, এমন কিছু করো যা এখনো কেউ আবিস্কার করেনি বা চিন্তা করেনি। এরকম বিমান বানানো বা খেলনা বানানো একই কথা। এগুলি শুধু সময় ও অর্থের অপচয় মাত্র। এমন কিছু তৈরী করো যা বিশ্বে প্রথম এবং তোমার নাম আবিস্কারক হিসাবে লেখা থাকবে মেকানিক হিসাবে নয়।