Image description
তরুণদের ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র যাত্রা শুরু, আহ্বায়ক নাহিদ সদস্য সচিব আখতার: ভারত ও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না, আগামীর বাংলাদেশ হবে ঐক্যের বাংলাদেশ, সংসদে কে যাবে নির্ধারণ করবে জনগণ, দলে কোনো পরিবারতন্ত্র থাকবে না

সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নই প্রথম লক্ষ্য-এমনটি জানিয়েছেন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশকে সামনে রেখে, এ দেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করতে চাই। আমরা সামনের কথা বলতে চাই। পেছনের ইতিহাস অতিক্রম করে সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই। তারা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না। সংসদে কে যাবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে, ভারত নয়। বিভাজনের রাজনীতির দিন শেষ। আগামীতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। নেতানির্ভর নয় নীতিনির্ভর বাংলাদেশ হবে। দলে কোনো পরিবারতন্ত্র থাকবে না। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ব্যক্তি বা পরিবারের পরিচয় মুখ্য হবে না। ক্ষমতা শুধু কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে কুক্ষিগত থাকবে না। তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। সেখানে দিনের ভোট রাতে হবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তরুণদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’ অনুষ্ঠানে নেতারা এসব কথা বলেন। নতুন এ দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নাম ঘোষণা করেন শহিদ মো. ইসমাইল হাসান রাব্বির বোন মিম আক্তার। এ সময় মিম আক্তার বলেন, আপনাদের মনে আছে-গত ৫ আগস্ট দুই বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ; সে দুই বোনের মধ্যে আমি একজন। ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করছি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদের কাজ হবে সংবিধান প্রণয়ন করা। যতদিন সংবিধান প্রণয়ন কাজ শেষ না হবে ততদিন এই পরিষদ দায়িত্ব পালন করবে। সংসদে এই সংবিধান অনুমোদনের পর গণপরিষদ বিলুপ্তি হবে। এরপর নির্বাচিত সদস্যরা জাতীয় সংসদের দায়িত্ব পালন করবেন।

সদস্য সচিব আখতার হোসেন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হয়েছেন ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার রিভা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। ১৫১ সদস্যের বাকি নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হবে।

নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বক্তব্যের শুরুতে বলেন, সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভারত ও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব। তিনি বলেন, আমরা সামনের কথা বলতে চাই। পেছনের ইতিহাস অতিক্রম করে সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই। এরপর তিনি দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা)। এরপর পবিত্র গীতা পাঠ করেন অর্পিতা শ্যামা দেব, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে আবির বড়ুয়া ও পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন অলিক মৃ। তারা সবাই জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে অংশ নেন। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি সবাই নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শহিদদের জন্য দোয়া করেন। শুরুতে মঞ্চে ডাকা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের। একে একে মঞ্চে আসেন নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেনসহ নেতারা। তারপর দেখানো হয় জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত আরেকটি ডকুমেন্টারি। অনুষ্ঠানে নতুন দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেন। এছাড়া দেশের ৬৪ জেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হন বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা। তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশকে ঘিরে পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে তারা উচ্ছ্বাস করছেন। দুপুরের মধ্যে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা সমর্থকদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশের নির্ধারিত অংশের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার সামনের অংশে খামারবাড়ি পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কেই অবস্থান নেন আগত ছাত্র-জনতা।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের পরপরই সংবিধান সংস্কারের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, আপনারা দোয়া করবেন বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আজকে যে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সেই দায়িত্ব পালনের তৌফিক দেন। তিনি আরও বলেন, তরুণরা স্বপ্ন দেখে আগামীর বাংলাদেশ নতুন এক সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও নতুন রাজনৈতিক দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

নতুন রাজনৈতিক দলের কর্ণধারদের উদ্দেশে নাসির বলেন, নতুনদের পথচলায় যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন আপনারা। বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, এতকাল বাংলাদেশকে একটা বাইনারি রাজনীতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। হয় এই দল নয় ওই দল। তিনি বলেন, আমাদের হাতে কোনো অপশন ছিল না। এমন করেই আমরা আমাদের নাগরিক অধিকারের কথা ভুলতে বসেছিলাম। এখন আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নকল্পে আমরা বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের কথা বলছি। এতদিন ধরে বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়নি। এই প্রচেষ্টা গ্রহণের উদ্যোগ তরুণদের নিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের ত্যাগ আমাদের ওপর এই দায় চাপিয়ে দিয়েছে। এই দায় অস্বীকার করার উপায় নেই। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এর মূলে রয়েছে এই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি আমাদের ওয়াদা।

সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমরা নতুন ধারায় রাজনীতি করতে এসেছি। বিগত দিনগুলোতে রাজনীতির মানে ছিল ক্ষমতার খেলা। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। অনেক সময় স্বার্থের লেনদেন। আমরা সেই রাজনীতির অবসান চাই। আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই যেখানে শুধু কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। রাজনীতির মানে হবে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, জনগণের কথা বলা। আমরা তরুণরা রাজনীতি করতে এসেছি জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে যে কেউ তার যোগ্যতা, সততা এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তার ব্যক্তি বা পরিবারের পরিচয় মুখ্য হবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে ক্ষমতা শুধু কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে কুক্ষিগত থাকবে না। ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে। নতুন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কারও পণ্যে পরিণত হবে না। সবার নাগরিক অধিকার সমান থাকবে।

আগামীর বাংলাদেশ হবে ঐক্যের বাংলাদেশ : জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, এই মঞ্চ থেকে আমরা শপথ নিতে চাই, এই ছোট জীবনে এতবড় দায়িত্বের আমানতকে যেন আমরা খেয়ানত না করি। তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশকে সুসংগঠিত করতে চাই তাহলে আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ঐক্যের বাংলাদেশ। হাসিনা দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠিত করতে হবে। খুনি হাসিনার বিচার আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। কোনো অপরাধীর মুক্তির জন্য আমরা থানায় যাব না।

গণভবনে কে যাবে নির্ধারণ করবে জনগণ : নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আপনারা দেখেছেন, ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে কিভাবে বিডিআর বিদ্রোহ বলে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের ওপর অপারেশন চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে দিনের ভোট রাতে চালু করা হয়েছে। ডামি নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টে আমরা এই অপশাসনের কবর রচনা করেছি। এই গণভবনে কে যাবে তা ভারত থেকে নির্ধারণ হবে না, এটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ। এই সংসদে কারা আসবে তা নির্ধারণ করবেন দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। এই সংসদে, মসনদে কারা বসবে তা নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ। তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি ইচ্ছেকৃতভাবে জিইয়ে রাখা হয়েছিল।

তরুণরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। আগামীর বাংলাদেশে আর আগের মতো রাতে ভোট হবে না। দলমত নির্বিশেষে সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ হায়দার বলেন, এই তরুণদের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরে মানুষের যে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, নাগরিক পার্টি মনে করে, শহিদ ও আহতদের স্পিরিট ধারণ করে কিভাবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে আমরা এক থাকব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহরিয়ার হাসনাত অপু বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বেচ্ছাসেবী টিমও কাজ করেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, আজকের আয়োজনকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টিম, অস্থায়ী ওয়াশরুম, পুলিশ বুথ, নারীদের জন্য পৃথক বুথ, ভিআইপি বুথ ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবাদকর্মীদের জন্যও ছিল সুসজ্জিত স্থান।

উপস্থিত ছিলেন যেসব আমন্ত্রিত অতিথি : বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তার আগে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এসে পৌঁছান অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আহমেদ আব্দুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. দিদারুল আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মাওলানা জসিম উদ্দিন ও সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী ঐক্যজোটের সহসভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, বিকল্পধারার কার্যকরী সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল মান্নান, বিকল্প ধারা একাংশের সাবেক মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদলও উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিবিদদের মধ্যে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গাল, ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস রেন্ডাল উপস্থিত ছিলেন।