Image description

রাখাল রাহার ইসলাম নিয়ে কটূক্তি ইস্যুতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরও সরকারের নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৌহিদী ছাত্র-জনতা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তৌহিদী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাখাল রাহার মহান আল্লাহ সম্পর্কে কটূক্তির ঘটনায় সরকারের নীরবতা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সরকার এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এটি দেশের ৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি চরম উদাসীনতা ও উপেক্ষার প্রকাশ।

এই উদাসীনতা শুধু জনগণকে সংক্ষুব্ধই করে না বা ন্যায়বিচারের ভিত্তিকে দুর্বল করে না, বরং জাতীয় স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলে। আমরা অবিলম্বে রাখাল রাহার গ্রেপ্তার এবং একটি কার্যকর ‘ধর্ম অবমাননা বিরোধী আইন’ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়। আমাদের এই দাবি ন্যায়বিচার ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এসেছে, বিভাজনের জন্য নয়। বিষয়টি আমলে না নিলে তা অবমাননাকারীদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে এবং জনরোষ আরও তীব্র হবে, যা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গতকাল রাখাল রাহাকে এনসিটিবি থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রচারণা আমাদের নজরে এসেছে, যা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে রাখাল রাহা নিজেই স্বীকার করেছে যে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে সে এনসিটিবির সাথে যুক্ত নেই। তাই বর্তমানে এনসিটিবির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই—এটি দাবি মেনে নেওয়ার কোনো প্রমাণ হতে পারে না। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সাথে চরম বেয়াদবি ও কটূক্তির অপরাধে রাখাল রাহাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ইস্যুতে বিভিন্ন সংগঠন এবং নেতৃবৃন্দ ন্যায়বিচারের দাবিতে কথা বলেছেন। আমরা তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা তাঁদেরকে আরও দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এবং এই বিষয়ে অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব, যার বিস্তারিত ঘোষণা শিগগিরই দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।