Image description
 

অবশেষে মুক্তি মিলল রংপুরের সেই মজনু মিয়ার। পুলিশের গাফিলতি ও নামের বিভ্রাটে নিরপরাধ মজনু যে আসল আসামি নয় তা তদন্তের পর হাইকোর্টকে জানানো হলে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিনাদোষে ৬ মাস কারাবাসের পর হন তিনি। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে সে সময় ৩১ জুলাই বিকেলে রংপুরে সাইফুল ইসলামের বাসায় হাজির হয় পুলিশ। খুঁজতে থাকে তার ভাই মজনু মিয়াকে; পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সাইফুলের পরিবারের কারোরই কোন ধারণা ছিল না কেন এই গ্রেপ্তার। 

পরে মামলার নথি ঘেঁটে জানা যায়, ২০১২ সালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাটে একটি মাদক মামলা হয়। সেই মামলায় শহীদুল ইসলাম ও মজনু সরকার নামে দুই আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত। সাজার পর জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ খুঁজতে থাকে মজনু সরকারকে। তবে মজনু সরকারের বদলে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, রংপুরের নিরপরাধ মজনু মিয়াকে। শুরু হয় মজনু মিয়ার জেল জীবন। 

 

এই ঘটনায় চ্যানেল 24 গত ১৭ আগস্ট একটি সংবাদ প্রকাশ করলে, সেই সংবাদের সূত্র ধরে রিট করা হয় হাইকোর্টে। অবশেষে দীর্ঘ তদন্তের পর বেরিয়ে আসে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা ছিলো পুলিশের ভুল। পরে মজনুকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মুক্তি পেয়েই হাইকোর্টে কৃতজ্ঞতা জানাতে আসেন মজনু। চান প্রকৃত দোষীদের সাজা, সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণও। 

এ মামলায় মজনুকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়া আইনজীবী বিভূতি তরফদার জানান, প্রকৃত আসামিকে খুঁজে বের করতে বলেছেন হাইকোর্ট। 

এর আগে, মজনু মিয়াকে প্রথম দফায় রংপুর কারাগারের রাখা হলেও, সেখান থেকে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ৬ মাসের বিনাদোষে কারাবাসের পর মুক্তি পান তিনি।