Image description
 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের স্কুলের ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার নিশা নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ২০ দিন পর বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশুটি।

নিশা পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

Kiswan

এর আগে রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা নিশাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দেখতে যান। সেময় নিশা তার ম্যাডামকে (প্রধান শিক্ষিকা) উদ্দেশ্য করে বলেছিল, ‘ম্যাডাম আমার বইগুলো ব্যাগের ভেতরেই আছে, একটু যত্ন করে রাখবেন। কারণ আমি তো সুস্থ হয়েই ক্লাসে আসব।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি সুমি বলেন, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বিদ্যালয়ের ছাদে খেলাধুলা করছিল কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারগুলো ১১ হাজার ভোল্টেজের হওয়ায় ওই তারের সংস্পর্শে মরিয়ম ও হাফসা নামে দুই শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানী ঢাকায় পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মরিয়মের মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভবনের বাসিন্দারা জানান, ছাদের উপর দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ হাই ভোল্টেজের লাইন নেওয়ার সময় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জটিল বাবু বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কাউকে বিষয়টি অবহিত করেননি। এমনকি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও না।

এর আগেও একবার আহত হয়েছিল এক শিক্ষার্থী। তারপর থেকে বিদ্যালয়ের ছাদে প্রবেশ পথের দরজাটি তালাবদ্ধ থাকত। কিন্তু, ঘটনার দিন অর্থাৎ গেল ২২ জানুয়ারি সেই শিক্ষক জটিল বাবু অজ্ঞাত কারণে ছাদের দরজা খোলা রেখে দূরে কোথাও চলে যাওয়াতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জটিল বাবু পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে মরিয়মের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মামা আবদুর রহমান জানায়, সঠিক বিচার পেতে যত দ্রুত সম্ভব আমরা রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।