Image description
 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যানুফ্যাকচার (উৎপাদন) খাতকে যেখানে সহায়তা করা হচ্ছে, সেখানে এদেশে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে ব্যবসায় লাভ কিংবা লোকসান যেটাই হোক, তাকে ট্যাক্স দিতেই হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) কনফারেন্স হলে জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

দৌলত আকতার মালা বলেন, আমাদের ট্যাক্স সিস্টেমকে নিয়ে অনিয়ম-অবহেলা রয়েছে। এটা নিয়ে স্পিড মানি (ঘুস) কালচার আছে। এ কারণেই অটোমেশন হয়নি। অন্যান্য দেশ ম্যানুফ্যাকচার সেক্টরকে উৎসাহিত করছে, বুস্ট করছে; নতুন নতুন ম্যানুফ্যাকচার সেক্টরকে ইনভাইট করছে তারা। আমরা সেখানে লোকাল ম্যানুফ্যাকচার সেক্টরকে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝা দিয়ে মেরে ফেলছি কী না দেখার বিষয়।

ইআরএফ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে ব্যবসায়ীরা লোকসান করলেও ট্যাক্স দিতে হয়। লাভ বা লোকসান যেটাই হোক না কেন তাকে ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা ইউনিফায়েড ট্যাক্স রেটে যাবো কি না সেটা নিয়েও আলোচনা দরকার। বাংলাদেশের ইকোনোমিতে ইউনিফায়েড ট্যাক্স রেট ১৫ শতাংশ, যেখানে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স রেট বহনের সক্ষমতা আছে কি না সেটাও দেখতে হবে। তাহলে যদি আমরা এক রেটেই যাই সেটা কত হলে যৌক্তিক হবে সেটার সিদ্ধান্তও আসতে হবে। ভ্যাট হার বাস্তবসম্মত করা উচিত।

দৌলত আকতার মালা আরও বলেন, আমাদের নিবন্ধিত কোম্পানি আড়াই লাখ, সেখানে ৩০ হাজার ট্যাক্স রিটার্ন করে। শুধু কোম্পানিগুলোকে একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বা নেটে আনা গেলে বা উৎসাহিত করা হলে আন প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। আমাদের রিবেট সিস্টেম থেকে বের হতে হবে। এখানে টাকা দেন, মাস শেষে ফেরত, মাঝখানে ট্যাক্স শেষ। তাছাড়া আমাদের নেগোসিয়েশন টোটালি ফেইল। এটা ফেইল না হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কেন আসতে হবে? অংশীজনদের সঙ্গে কোনো রকম পূর্ব আলোচনা ছাড়াই ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন এলো?