![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/0be52ca58fac450a12c4bffdfdd741aa.png)
ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল নগদের অফিসে অভিযান চালায়। অভিযানের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচারের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগে বলা হয়, নগদ বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করে বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থপাচার করেছে। এ অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একটি অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় নগদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী দল। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, নগদ প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি অনিয়মিত ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করেছে। এছাড়া ট্রাস্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নগদের মূল অ্যাকাউন্টের হিসাবের গড়মিল পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে যাচাইয়ের জন্য দুদক কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট সব নথি সংগ্রহ করে। সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ বিষয়ে নগদের প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকাপাচার এবং ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়ম পাওয়া গেছে।