মানব পাচারকারীর প্রলোভনে পড়ে সদ্য কৈশোর পেরোনো শরীয়তপুরের রাসেল মিয়া ১২ লাখ টাকা খরচ করে লিবিয়া গিয়েছিলেন। ‘হাওয়ার নৌকা’য় তুলে তাকে ইতালি নেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল দেশটির উপকূলে অবস্থিত ‘গেমঘরে’। সেই গেমঘর থেকেই অপহরণের শিকার হন তিনি। নির্মম নির্যাতনের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া পান। তিন মাস আগে দেশে ফিরতে পারলেও এখনো নির্যাতনের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। সেই সময়ের কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন তিনি।
রাসেল বেঁচে ফিরতে পারলেও সম্প্রতি লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে সেই হাওয়ার নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৩ জনের, তাদের ১০ জনই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার একই এলাকার বাসিন্দা। এই পরিবারগুলোয় চলছে শোকের মাতম। তবে এখনো ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি, গ্রেপ্তার হয়নি পাচার চক্রের কেউ।
শুধু সাম্প্রতিক এই ঘটনাতেই নয়, ২০২০ সালের ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচার চক্রের সদস্যরা গেমঘরে জিম্মি অবস্থায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে অন্তত ২৫টি মামলা হয়। এসব মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে চার্জশিট জমা দিলেও একটি মামলার রায়ে সব আসামি খালাস পায়। অন্য মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি।
আদালত সূত্রে ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলাগুলোর তদন্ত শেষে চার্জশিটে পাচারকারী হিসেবে ২৮৮ জনের নাম আসে। ওই সময় দেড়শতাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তবে সবাই জামিনে বেরিয়ে গেছে।
লিবিয়ায় মানব পাচারে জড়িত একাধিক দালাল ও পাচারের পর ফিরে আসা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউরোপের দেশ ইতালিতে নেওয়ার নানা প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রাম পর্যন্ত মানব পাচারকারীরা জাল পেতে রেখেছে। এরা মূলত স্থানীয় দালাল, মধ্যম সারির দালাল, ঢাকায় কিছু রিক্রুট ও ট্রাভেল এজেন্সির দালাল এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত দালালদের মাধ্যমে নানা প্রলোভনে মানব পাচার করে থাকে। বিশেষ করে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নড়াইল, কুষ্টিয়া ও বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় এরা সক্রিয়।
এই দালাল চক্র পাচার হওয়া ব্যক্তিকে লিবিয়ায় নিয়ে যে ক্যাম্পে বা বাসায় রাখে, তা মূলত পাচারকারীদের জগতে ‘গেমঘর’ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরের তীরের আশপাশের শহরগুলোতে এমন গেমঘর গড়ে তোলা হয়েছে। পাচারের পর বাংলাদেশিদের এসব ক্যাম্পে রাখা হয়। সেখান থেকে সমুদ্রতীরে নিয়ে ইতালির উদ্দেশে হাওয়া বা বাতাসচালিত নৌযানে তুলে দেওয়া হয়। পাচারকারীদের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘গেম দেওয়া’।
ভয়ংকর এই পাচার ঠেকাতে দেশের বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগ এবং ইউরোপের সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স যৌথভাবে কাজ করছে। ফ্রন্টেক্সের তথ্য উদ্ধৃত করে ব্র্যাক বলছে, শুধু ২০২৪ সালেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ১৪ হাজার বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। ২০০৯ সাল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৪ হাজার বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গেছেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল ইসলাম হাসান কালবেলাকে বলেন, যেসব দেশের নাগরিক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ শীর্ষে। এই শীর্ষে থাকাটা দুঃখজনক। ভয়ংকর এই যাত্রা থামাতে সাধারণ মানুষকে সবার আগে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে স্থানীয় দালাল এবং পাচারের অর্থ লেনদেনকারীদের ধরতে হবে।
দেশে পাচারকারী কারা: মানব পাচারের ঘটনায় দায়ের মামলার নথি বিশ্লেষণ ও কালবেলার অনুসন্ধানে লিবিয়ায় মানব পাচারের চারটি জোনে অন্তত ২০টি চক্রের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ভূমধ্যসাগর দিয়ে পাচার ঠেকাতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলো মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জকে একটি জোন; কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদীসহ আশপাশের এলাকায় দ্বিতীয় জোন; সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলকে তৃতীয় জোন এবং নোয়াখালী-কুমিল্লাসহ দেশের অন্য জেলাগুলোকে চার নম্বর জোন হিসেবে বিবেচনা করে। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মানব পাচার করে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলেও নজরদারির অভাবে ফের বেরিয়ে পাচারে যুক্ত হচ্ছে।
এসব পাচারকারীর মধ্যে মাদারীপুরে বিভিন্ন এলাকার মনির হাওলাদার, স্বপন মাতুব্বর, জুলহাস শেখ, নূর হোসেন শেখ, রবি, রাজন ওরফে বুলেট, রাসেল মীর, ইলিয়াস মীর, মোমিন, জাকির মিয়া, আল আমিন মাতুব্বর, গিয়াস মাতুব্বর, আমির শেখ, নজরুল মোল্লা, রুবেল, জাকির মাতুবর, জুলহাস সরদার, জাহিদুল শেখ ও জাহাঙ্গীরসহ অন্তত ৩০ জনের একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে। তাদের মধ্যে স্বপন মাতুব্বর ও মনির হাওলাদারের নাম এসেছে সম্প্রতি মারা যাওয়া ১০ জনকে পাচারের ঘটনায়।
শরীয়তপুরের সেলিম, কালাম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, মুন্না মাল, মহসিন, জামান ফকির, বাদল মকদম, তবিবুর, রফিক পেদা, ফরিদপুরে বাদশা ফকির, মুন্সীগঞ্জের রহিম বেঙ্গলী, ভৈরবের জাফর, গোপালগঞ্জের রব মোড়ল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রফিকুল ইসলাম সেলিম ও হোসাইন, নোয়াখালীর কাজী শরীফ, নাসির, কাজী ইসমাইল, রিপন, চান্দিনার শরীফ হোসেন, নড়াইলের মোক্তার মোল্লা, কুমিল্লার নুরজাহান ও তার বাবা সাত্তার, কুষ্টিয়ার কামাল হোসেন ওরফে হাজি কামাল ও সাদ্দাম লিবিয়া কেন্দ্রিক মানব পাচারে জড়িত বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এলাকায় একাধিক চক্র থাকলেও রব মোড়লের লোকজন গোপালগঞ্জে, কিশোরগঞ্জ এলাকায় তানজির, শাওন, হেলাল, খবির, শহিদ ও জাফর ইকবাল, হাজী কামালের লোকজন কুষ্টিয়া অঞ্চলে, মোক্তার মোল্লার লোকজন নড়াইল এলাকায় এবং ফরিদপুর এলাকায় বক্স সরদারের নেতৃত্বে লিবিয়াকেন্দ্রিক মানব পাচার চক্র রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে তিন ভাই রুবেল, নাসির ও রিপন, কুমিল্লায় শরীফ হোসেন ও সনাতন দাশ ওরফে দাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসান মাহবুব, সেলিম ও হোসাইন এবং বরগুনায় সজল ও ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে লিবিয়ায় মানব পাচার চলছে।
লিবিয়ায় ‘গেমঘর’ আর ‘হাওয়ার নৌকা’র মালিক যারা: নির্যাতনের পর লিবিয়া থেকে ফিরে আসা একাধিক ব্যক্তি, স্থানীয় পর্যায়ে দালাল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ের দালালরা প্রলোভন দিয়ে ইউরোপ যেতে আগ্রহী লোকজন খুঁজলেও তাদের কলকাঠি নাড়ে মূলত লিবিয়া, মিশর ও দুবাইয়ে অবস্থানকারী শক্তিশালী চক্র। তারা লিবিয়ায় ‘গেমঘর’ ও ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে ‘হাওয়ার নৌকা’র মালিক হিসেবে চিহ্নিত এবং তারা লিবিয়ার মাফিয়া হিসেবে পরিচিত। এই চক্রে কুমিল্লার শরীফ হোসেন অন্যতম। এই শরীফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রয়েছে। শরীফ স্ত্রী নিয়ে লিবিয়ায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রীর ভাবি মাদারীপুরের নারী রিক্তা বেগম তাদের হয়ে দেশে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ছাড়া লিবিয়ায় মাফিয়া হিসেবে পরিচিত ভৈরবের জাফর, মিশরে মাফিয়া হিসেবে চিহ্নিত ফরিদপুরের আবদুর রহমান তৌহিদ, নোয়াখালীর ইসমাইল ও শরীফ, দুবাইয়ে কুষ্টিয়ার সাদ্দাম, লিবিয়ার বেনগাজীতে আবদুল্লাহ, মনির, বাদশা, আল আমিন ও রহিম বেঙ্গলী।
আতঙ্কের আরেক নাম ‘গেমঘর’: লিবিয়া হয়ে ইতালি পৌঁছানো অন্তত তিন বাংলাদেশি কালবেলাকে বলেন, তারা লিবিয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পৌঁছতে পারলেও সেখানে কথিত গেমঘর নামের অমানবিক বাসায় বন্দি করা হয়। এরপর তারা যাদের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছান, তাদের আর দেখা মেলে না। নতুন লোকজন তাদের দায়িত্ব নেয়। তারা সামান্য কিছুতেই মারধর শুরু করে। এরপর ন্যূনতম প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।
ফিরে আসা কয়েকজন জানান, গেমঘরে তাদের প্রতিটি দিন কাটত আতঙ্কে। দীর্ঘদিন আটকে রাখলেও কথা বলা যেত না। একপর্যায়ে তাদের লিবিয়ার স্থানীয় মাফিয়ারা অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায়। চলতে থাকে নির্মম নির্যাতন। তা ভিডিও করে গ্রামের বাড়ি বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সেই মুক্তিপণের টাকার জন্য লিবিয়ায় থাকা বাংলাদেশি মাফিয়াদের প্রতিনিধিরা গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মূলত তারা একই সিন্ডিকেটের সদস্য।
মৃত্যুফাঁদ হাওয়ার নৌকা: ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানো এবং নির্যাতনের মুখে ফিরে আসা কয়েকজন জানান, রাবারের তৈরি এই নৌযানগুলোতে বাতাস বা হাওয়া ঢুকিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়। ফিটনেসহীন এই যানে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি লোক তুলে তা উত্তাল সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এসব নৌযানে দক্ষ কোনো চালকও থাকে না। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মাঝ সমুদ্রের নৌকাগুলো ডুবে যাওয়ার শঙ্কাও থাকে, যা এগুলোকে পরিণত করে এক ধরনের মৃত্যুফাঁদে।
লিবিয়ায় মানব পাচারে যুক্ত একজন বলেন, মূলত এই নৌকাগুলো ৭২ ঘণ্টার টার্গেট নিয়ে ভাসানো হয়। অন্য কোনো সমস্যা না হলে এই সময়ের মধ্যে নৌকা চলে যায় ইউরোপ সীমান্তের কাছাকাছি। এরপর কোস্টগার্ড বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখলেই নৌকা থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে সাগরে পড়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। অনেক সময় পুরো নৌকাই ডুবিয়ে দেওয়া হয়। আর এসব কিছু তাদের আগেই শিখিয়ে দেওয়া হয়। নৌকা ডুবে গেলে মানবিক কারণে ইউরোপের সীমান্তরক্ষীরা লোকজনকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
ওই ব্যক্তি জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে নৌযানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে বা কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে মূলত দুর্ঘটনা ঘটে। তখন দীর্ঘ সময় ধরে ভাসতে থাকায় খাদ্য শেষ হয়ে যায় এবং অস্থির হয়ে যাত্রীরা নড়াচড়া করলে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ যাত্রী নিয়ে ভাসতে থাকা নৌকাগুলো অনেক সময় গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।
মাইগ্রেশন নিয়ে কাজ করা ব্র্যাক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম হাসান কালবেলাকে বলেন, লিবিয়ায় নির্যাতন থেকে ফিরে আসা লোকজনের মধ্যে তারা গবেষণা করে দেখেছেন, লিবিয়ায় গিয়ে ৭৯ শতাংশ মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেখানে গিয়ে ৯৩ শতাংশ মানুষকেই কথিত গেমঘর বা ক্যাম্পে বন্দির পর জিম্মি করে গ্রামে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়।
দুই রুটে পাচার: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় মূলত দুই রুটে পাচার করা হয়। একটি রুট ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে মিশর, সেখান থেকে লিবিয়া। অন্য রুটটি ঢাকা থেকে নেপাল হয়ে মিশর যাওয়ার পর সেখান থেকে লিবিয়া। দুটি রুটেই ভ্রমণ ভিসা দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুবাইয়ে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় পাচারকারীদের কাছে ঢাকা-নেপাল-মিশর রুটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, লিবিয়ায় মাদারীপুরের ১০ জনের মৃত্যুর খবর ছড়ালেও এখন পর্যন্ত তিনজনের পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্য সাতজন নিখোঁজ রয়েছে। এসব ঘটনায় এখনো মামলা না হলেও পাচারকারীদের ধরতে চেষ্টা চলছে।