![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/8f74d13cb3adcf9112a41c6a4b40203e.webp)
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িটি ঘিরে এখন উৎসুক আর বিক্ষুব্ধ মানুষের ভিড়। কেউ করছেন ভিডিও, কেউ তুলছেন সেলফি। কারও মুখে শোনা যাচ্ছে শেখ হাসিনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা। বাড়িটিকে জাদুঘর করার দাবিও করছেন কেউ কেউ। তৃতীয় দিনে অনেককে বড় বড় হাতুড়ি নিয়ে দেওয়াল ভেঙে রড ও ইট বের করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া পোড়া সুধা সদনেও দেওয়াল ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। বৃহস্পতিবার রাতে শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের (শেখ সেলিম) বনানীর বাসায়ও আগুন দেয় জনতা। একপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আশপাশের বাসিন্দারা পাইপের পানি দিয়ে আগুন নেভান।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের বাসা-বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ এবং ফেনীর সোনাগাজীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীর বাঘা, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পিরোজপুরের নাজিরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ভোলাসহ অন্তত ১৬ জেলায় আওয়ামী লীগের ২৫ নেতার বাসা-বাড়ি, আওয়ামী লীগের ৮টি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ১১টি ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটির অল্পকিছু কঙ্কালসার অংশ পড়ে আছে। বাতাসে পোড়া গন্ধ। এরই মধ্যে চলছে বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে দেওয়াল ভেঙে রড, লোহা ও ইট সরানোর যজ্ঞ। এ ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনার প্রতি, কেউ জানাচ্ছেন স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণা।
দুপুর ১২টায় মিরপুরের রূপনগর থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসেছেন আলিম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এ দেশে ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নেই, এমনটাই প্রমাণ করা হলো এই বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে। তিনি বলেন, বাড়িটিকে সরকার জুলাই জাদুঘর তৈরি করুক-এমন দাবি জানাই। পাশের ছয়তলা ভবনে কথা হয় নারায়ণগঞ্জের আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি একজন শিক্ষক। আব্দুর রহিম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরিণতি দেখতে এখানে এসেছি। তিনি বলেন, গুঁড়িয়ে দিয়ে ভালো করেছে ছাত্র-জনতা। এটি একটি নজির হয়ে থাকবে। তিনি শেখ হাসিনার প্রতি তীব্র ঘৃণা জানান।
সুলতানা বেগম নামে এক নারী বলেন, আসলে অতিরিক্ত কোনো কিছুই যে ভালো না, এর প্রমাণ হলো ৩২ নম্বর। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন ৩২ নম্বরের ইতিহাসটা অন্যভাবে জানবে।
এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আহমদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে, তারা আজ কোথায়? শেখ মুজিবকে মারল, কেউ এলো না, হাসিনা পালিয়ে গেল, কেউ তার পাশে ছিল না। এত দলবাজি আর ক্ষমতার বড়াই কীসের জন্য। আসলে জনগণের ক্ষমতার চেয়ে বড় কিছু নেই।
সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উৎসুক জনতার ভিড়। এর মধ্যে পাশের নির্মাণাধীন ভবন ঘিরে কিছুক্ষণ পরপরই ছড়িয়ে পড়ে গুজব। কেউ বলছেন, এটি আয়নাঘর। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি মূলত পার্কিং। পার্কিংয়ের ভেতরে জমে আছে পানি। ভেতরে অন্ধকার। তবে কতটুকু ভূগর্ভস্থ, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ। আব্দুর রকিব নামে এক ব্যক্তি যুগান্তরকে বলেন, আমি নিজেও পানিতে নেমেছিলাম। ওখানে দুটি ব্যাজমেন্ট রয়েছে, লেবেল ওয়ান এবং লেবেল টু।
৩২ নম্বরের বাড়িটির ধ্বংসস্তূপে হ্যাকসো ব্লেড দিয়ে রড কাটছিলেন এক ব্যক্তি। নাম বলতে রাজি হলেন না, তবে বাসা জানালেন হাজারীবাগে। তিনি জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১০ কেজি রড কাটতে পেরেছেন। জানান, এর আগের দিনও ১৫ কেজি রড সংগ্রহ করতে পেরেছেন তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, একটি পিলারের রড কাটার সময় ভবনের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বাড়িটির পেছনের ৬তলা ভবনের ৫তলায় এখনো আগুনের ধোঁয়া উড়ছে। এর একপাশে লোহালক্কড় খুঁজছেন চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী। তিনি জানান, নাট-বোল্ট, লোহালক্কড় সংগ্রহ করছেন সকাল থেকেই। বাড়ির দ্বিতীয়তলায় দেখা গেছে তিন কিশোরকে রড খুলতে। আবার কিছু মানুষকে রড কেটে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন ইট। তবে কোনো ভারী যন্ত্র দিয়ে বাড়ি ভাঙতে দেখা যায়নি। একই পরিণতি হয়েছে ধানমন্ডির সুধা সদনের। বাড়িতে কিছু না থাকলেও দরজা-জানালা, গ্রিল-সবকিছু নিয়ে যাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ। শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি ছিল এটি। একসময় এখান থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন শেখ হাসিনা।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয় এবং সুধা সদন ভবনটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর বাসায় বৃহস্পতিবার রাতে আগুন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আশপাশের বাসিন্দারা পাইপের পানি দিয়ে আগুন নেভান। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুন লাগলেও শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িটির তিনতলা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। আগুনে বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ পুড়ে কালো হয়ে গেছে। ৫ আগস্টের পর বাড়িটিতে কয়েক দফায় লুট হয়েছে। এতে বর্তমানে কোনো আসবাবপত্র অবশিষ্ট নেই। দরজা-জানালা আগেই খুলে নিয়ে গেছে। কিছু ছবি, অ্যালবাম আর কাগজপত্র এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
পাশের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর বাড়িটিতে কয়েক দফা লুট হয়েছে। সেখানে এখন কোনো আসবাবপত্র নেই। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই বাড়িটির তিনতলায় আগুন দেখা যায়। তখন পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়িতে যেন আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, নিরাপত্তাকর্মীরা মিলে পাইপ দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কিশোরগঞ্জ : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের খরমপট্টিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর শেষে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এসময় কিছু লোক লুটপাট করে। একই রাতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় ও শহরের চৌদ্দশত চৌরাস্তায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এছাড়া খরমপট্টিতে পলাতক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এডিসি বিপ্লব কুমার সরকারের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
নোয়াখালী : বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়ি ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদ এবং চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। এসময় অনেকে লুটপাট চালায়। হাতিয়ায় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুট ও আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া মোহাম্মদ আলীর ৭টি স্পিডবোট ও ৪টি ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় আগুন দিয়েছে জনতা।
নাজিরপুর (পিরোজপুর) : বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শ ম রেজাউল করিমের উপজেলা সদরের বাড়িতে ভাঙচুর, লুট ও আগুন দেওয়া হয়। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন যুগান্তর প্রতিনিধি লাহেল মাহমুদ। একই রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান, শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এসএম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসের বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফারুক হোসেন মিঠুর বাড়ির প্রধান ফটক ভাঙচুর করা হয়। পরে আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ খুশি, আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ হোসেন টিটু, সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য কামাল আলী মেম্বারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কালীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
সোনাগাজী (ফেনী) : আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের নানার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া ফেনী-৩ সোনাগাজী-দাগনভূঞা আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়।
বাঘা (রাজশাহী) : উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরপুর হাজামপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান এবং কেশবপুর গ্রামের প্রদীপ কুমার মাস্টারসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে জনতা।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপনের ২টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
রাজাপুর (ঝালকাঠি) : বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনিরের উপজেলা সদরের বাড়িতে হামলা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় দৌলতপুর গ্রামে ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুমকে আটকের পর মারধর করে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বায়েজিদ আহম্মেদ খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের বাড়িতে হামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সাবেক ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দের বৈশাখী ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতা শাহ আহসান হাবীব রাজিবের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর : নেত্রকোনার পূর্বধলায় একটি ম্যুরাল, ভোলায় তিনটি ম্যুরাল ও জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জে দুটি ম্যুরাল, বগুড়ায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের অফিস, দিনাজপুরে দুটি অফিস, কুমিল্লায় মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস, ময়মনসিংহের ফুলপুরে একটি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিখচিত ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।