![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/f1577f109be77d80d80feae69ff3cd6f.webp)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। গতকাল মিরপুরে চিটাগং কিংসকে তিন উইকেটে হারিয়েছেন তামিম ইকবালরা। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স (২০১২ ও ২০১৩) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের (২০২২ ও ২০২৩) তৃতীয় দল হিসেবে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ফরচুন বরিশাল। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রাতের ম্যাচে পরে ফিল্ডিং করা চ্যালেঞ্জিং। কুয়াশার কারণে বল ভেজা থাকে। বল তালুবন্দি করাটাও কঠিন। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রেখে ব্যাটিংয়ে নামতে পারলেই কেল্লা ফতে! বরিশাল অধিনায়কের উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। তবে চিটাগং কিংসের ব্যাটাররা ঝোড়োগতিতে রান তুলে রানের পাহাড় গড়েন। ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমন উদ্বোধনী জুটিতেই করেন ১২১ রান (মাত্র ১২.৪ ওভারে)। নাফে ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে। ইবাদত হোসেনের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাফে। উইকেটে টিকে থাকেন পারভেজ। তিনি গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের খাতায় আরও ৭০ রান যোগ করেন। গ্রাহাম ২৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হলেও টিকে থাকেন পারভেজ। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ৪৯ বলে ৭৮ রান করেন। ৬টি চার ছাড়াও ৪টি ছক্কা হাঁকান পারভেজ। ফরচুন বরিশালের পক্ষে মোহাম্মদ আলি ও ইবাদত একটি করে উইকেট শিকার করেন। আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দেন। এছাড়া বাকি সব বোলারই চিটাগং কিংসের ব্যাটারদের সামনে নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে চিটাগং কিংস।
ফাইনাল বলে কথা। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফরচুন বরিশালও ঝোড়োগতিতে ব্যাটিং করে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২৯ বলে ৫৪ রান করে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। ৯টি চার ছাড়াও ১টি ছক্কা হাঁকান তামিম। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটা তামিমের ৩৩ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার তাওহিদ হৃদয়। নিয়মিত উইকেট হারালেও রানের গতি কমতে দেয়নি ফরচুন বরিশাল। মালান মাত্র ১ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিমও সাজঘরে ফেরেন ১৬ রানে। তবে কাইল মায়ার্স দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ এক ফাইনাল দেখেন দর্শকরা। একের পর এক চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কাইল মায়ার্স। তিনি ২৮ বলে ৪৬ রান করেন। শেষদিকে রিশাদ মাত্র ৬ বলে ১৮ রান করে বরিশালকে জয় এনে দেন। ৩ বল হাতে রেখে বরিশাল ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে।