Image description

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মতো মালিবাগ, শান্তিনগর, খিলগাঁও ও শাহজাহানপুরেও সক্রিয় রয়েছে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্র। অন্য এলাকা থেকে রাতে এসব এলাকায় ঢোকে অটোরিকশা নিয়ে। মাদক সেবনের পর গভীর রাতে নেমে পড়ে রাস্তায়। ধারালো চাপাতি ও সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে ছিনিয়ে নেয় সব।

সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য দিয়েছে র‌্যাব।

 
২৪ অক্টোবর, ভোর ৬টা ৪৫ মিনিট। রাজধানীর মালিবাগের প্রথম লেন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূরে আলম অমিত। হঠাৎ ধারালো অস্ত্রের মুখে দুজন তার গতিরোধ করে। সঙ্গে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ছিনতাইকারীদের পেছনেই ছুটতে থাকেন সেই শিক্ষার্থী। অটোরিকশায় পালিয়ে যায় তারা।
 
মালিবাগের প্রথম লেনে অসংখ্য গলি। এলাকাবাসী জানান, রাত ১২টার পর এসব গলি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে রাস্তায় বের হতে ভয় পান তারা। শুধু মালিবাগেই নয়, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, খিলগাঁওয়েও বেড়েছে এমন ঘটনা।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ছায়া তদন্তে নেমে এলাকার অর্ধশতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুজনকে শনাক্ত করে র‌্যাব-৩। খিলগাঁও ও শাহজাহানপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সুজন ও সাইফুলকে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা।
 
 
র‌্যাব বলছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে ভাসমানভাবে অবস্থান করে এই দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীরা। রাত ১২টার পর নামে মিশনে। ধারালো সামুরাই ও চাপাতির মুখে জিম্মি করে সাধারণ মানুষকে।
 
র‌্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গ্রেফতার সুজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সাইফুল তার সহযোগী। সুজনের নামে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে।
 
‘নিশাচর’ এই ছিনতাইকারী চক্রের আরও সদস্য এখনো অধরা। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।