ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর গভীর রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে সাবেক ছাত্রদল কর্মী সাদ্দাম হোসেন সাদ্দামকে (৩৭)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোলাগুলির ঘটনার পর রাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত সাদ্দাম শহরের কান্দিপাড়া মাইমলহাটি এলাকার মোস্তফা কামাল মস্তুর ছেলে। তিনি ছাত্রদলের সাবেক কর্মী। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল মস্তু জানান, রাত দেড়টার দিকে দিলীপ, বাবুল ও পলাশ নামে তিনজন তার ছেলেকে ডাকলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর খবর পান খালপাড় মসজিদের কাছে সাদ্দামকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলা কাটা ছিল এবং বুকে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহত সাদ্দাম বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আধিপত্য নিয়ে লায়ন শাকিল গ্রুপ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ৫ জন আহত হয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই এলাকায় রবিন ও রিজন নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় রবিনের মোটরসাইকেল এবং তার কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা লুট করা হয়। আহত দু’জনকে রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে। রাতের সংঘর্ষে আহত দুইজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।