
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩,৮৩০ জন নিহত এবং ১৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও চলছে উদ্ধার অভিযান। ৪ হাজার ৭৪৮টি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন থেকে ৭ হাজার ৮৪০ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শীতের আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার সকালে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত আনে। এ ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছিল লেবানন এবং ইসরাইল পর্যন্তও।
১৯৯৯ সালের আগস্টে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের শহর দুজসেতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ঘটনায় মারা যায় ৮৪৫ জন। এরপর বিভিন্ন সময় তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু সেগুলো এত বিধ্বংসী ছিল না। তাই মাত্রার দিক থেকে এবারের ভূমিকম্পটি তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তুষারে ঢাকা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়। প্রবল ঝাঁকুনিতে বহু ভবন ধসে পড়েছে, সেসব ধ্বংসস্তূপে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হতাই, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস-এই ১০টি শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি। সেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে এবং রাতের বেলা তা আরো কমে যেতে পারে।