তুরস্ক ও সীমান্তবর্তী সিরিয়ায় সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তুর্কি কর্মকর্তা ও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় আঘাত হেনেছে। এতে তার ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র মাটিতে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত তুরস্কে ৫৩ জন এবং পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও আশপাশের অন্যান্য শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। বিবিসির তুর্কি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দিয়ারবাকির শহরের একটি শপিং মল ধসে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুলউফ সিরিয়ার গাজা উপত্যকা থেকে বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন, সেখানে অন্তত ৪৫ সেকেন্ড ধরে ভূকম্পন অনুভব করেছেন।
এদিকে তুরস্কের ভূমিকম্পবিদেরা বলেছেন, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। প্রথমবার ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মিনিট পর দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পটি সাইপ্রাস, সিরিয়া, লেবানন, গ্রিস, জর্ডান, ইরাক, রোমানিয়া, জর্জিয়া এবং মিসরেও অনুভূত হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ এবং ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক শহরে।