Image description

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ থাকেন এবং কাজ করার উপযোগী থাকেন, তাহলে তো তিনিই হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।

প্রশ্ন : বেগম খালেদা জিয়া আগামীতে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন কি না?

মির্জা ফখরুল : সেটা তো সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে। যেহেতু তিনি আমাদের চেয়ারপার্সন, তিনি হচ্ছেন লিজেন্ডারি লিডার। সে কারণে তিনি নির্বাচনে প্রচারণাতে নামেন, এমনটা যদি হয়, সেটা বিএনপির জন্য বিরাট প্লাস পয়েন্ট হবে।

প্রশ্ন : ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কবে নাগাদ? কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে?

মির্জা ফখরুল : নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখি না; তবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দলীয় দাবি। এখানে তার আবাসন ঠিক করতে হচ্ছে। কারণ তার তো কোনো বাড়ি নেই এখানে। চেয়ারম্যান অব এ পার্টি, তার একটা বাড়ি দরকার হচ্ছে। একই সাথে তার অফিস ঠিক করা দরকার। তার জন্য গাড়ি ঠিক করা হচ্ছে। কিছু সময় লাগছে। মোটামুটিভাবে তো তৈরি হয়ে আসছে সব, খুব শীঘ্রই আসছেন।

প্রশ্ন : ২৪-এ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, বিশ্ব সম্প্রদায় সেই বাংলাদেশকে কিভাবে দেখছে?

মির্জা ফখরুল : তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক বেশি আগ্রহী কারণ তারা এখানে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে চায়। তারা চায় যে, একটা ইলেকশন হওয়ার পর নির্বাচিত সরকার এলেই তখন তাদের বিনিয়োগ এখানে আসবে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ভীষণ আগ্রহ রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ও মধ্যপ্রাচ্যের যথেষ্ট আগ্রহ আছে।

প্রশ্ন : সাধারণ মানুষের মনে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিএনপিতে এমন কোনো সন্দেহ বা শঙ্কা আছে কি না?

মির্জা ফখরুল : নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না এমন কোনো সন্দেহের কারণ নেই। কারণ সরকার প্রধানের যে কমিটমেন্ট, সরকারের যে কমিটমেন্ট, নির্বাচন কমিশন যেভাবে তৈরি হয়েছে, তাতে করে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন : নির্বাচন কমিশনের প্রতি আপনাদের আস্থা কেমন?

মির্জা ফখরুল : যথেষ্ট আস্থা আছে। আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, আমি মনে করি যে, তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।

প্রশ্ন : নির্বাচন যেহেতু সামনে বিএনপির প্রস্তুতিও নিশ্চয়ই আছে। আলোচনা আছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তুলনায় প্রস্তুতিতে বিএনপি অনেকটা পিছিয়ে আছে। আসলে কি ব্যাপারটা তাই?

মির্জা ফখরুল : ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। কারণ এটা প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে-‘বিএনপি প্রস্তুত নয়’, ‘বিএনপিতে ক্যান্ডিডেট নেই’, ‘এখনো ক্যাম্পেনই শুরু করতে পারেনি’। এগুলো ঠিক না। বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।

প্রশ্ন : বিএনপির প্রার্থীরা কবে নাগাদ নির্বাচনী মাঠে নামবেন?

মির্জা ফখরুল : প্রার্থীরা তো প্রায় সবাই নেমে গেছে। যারা যারা সম্ভাব্য প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বা যারা নির্বাচন করতে চায়, তারা তো এমনিই মাঠে আছে। এখন দলীয় নমিনেশন চূড়ান্ত হলে তো চূড়ান্তভাবে নামবে।

প্রশ্ন : প্রার্থী বাছাইয়ে কোন ফ্যাক্টরটি এবার বেশি কাজ করবে আপনাদের?

মির্জা ফখরুল : এখানে প্রধানত তারা মূল্যায়িত হবেন, যারা ২৪-এর গণ-আন্দোলনসহ গত ১৭ বছর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের সাথে জড়িত ছিল। একই সাথে দলীয় ইমেজ তো অবশ্যই থাকতে হবে। এই সব ব্যক্তিই এবার নির্বাচনে নিঃসন্দেহে প্রার্থী হিসেবে প্রাধান্য পাবে।

প্রশ্ন : প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ কোনো চমক থাকবে এবার?

মির্জা ফখরুল : চমক বলতে ইয়াং জেনারেশনটা এবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশি অগ্রাধিকার পাবে। কারণ তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ। আমাদের এমনি যারা ওল্ড জেনারেশন আছেন, তারা অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তারা হয়তো নির্বাচন করতে চাইবেন না। বাকি আসবে কিছু প্রফেশনাল। তা ছাড়া নারীরা যথেষ্ট অগ্রাধিকার পাবে।

প্রশ্ন : নির্বাচনী জোট নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা হয়েছে কি?

মির্জা ফখরুল : আমাদের সাথে নির্বাচনী জোট নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা কারো সাথে হয়নি। তবে আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সাথে ছিলেন তাদের সাথে নিয়ে পরে একটা সরকার গঠন করার ঘোষণা তো আমাদের আছে। কারা থাকবে বা থাকবে না, সে দলগুলোর নিজস্ব ব্যাপার।

প্রশ্ন : বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারটা এবার কেমন হবে? ৩১ দফার বাইরে কোনো বিশেষ চমক থাকবে কি?

মির্জা ফখরুল : মূলত ৩১ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার। তার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। বিশেষ করে আনএমপ্লয়মেন্ট যে ইস্যুটা আছে, এটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে হয়। এজন্য আমরা কীভাবে এমপ্লয়মেন্টের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারি, ইনভেস্টমেন্ট আরো বাড়াতে পারি, সে বিষয়গুলো ইশতেহারে উঠে আসবে।

প্রশ্ন : কিছু রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি। ব্যাপারটা কি পরবর্তীতে কোনো সংকট তৈরি করবে?

মির্জা ফখরুল : না, ব্যাপারটা হচ্ছে ঐকমত্য তৈরি তো হবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতগুলো বিভিন্ন রকম থাকবেই।

আমরা যে জিনিসটাকে গুরুত্ব দিয়েছি সেটা হলো- সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে চাই না। সংবিধানের মধ্যেই এমেন্ডমেন্ট করে যেগুলো আমাদের জন্য উপযোগী হচ্ছে না, সেগুলোকে পরিহার করে নতুন কোনো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আসা সেটাই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।

প্রশ্ন : সনদের আইনি ভিত্তির কথা বলা হয়েছে। বিশেষ আদেশ জারি ও নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

মির্জা ফখরুল : নির্বাচনের দিন গণভোট হলে সেটা সম্ভব, কিন্তু নির্বাচনের আগে গণভোট এটা আমরা মানতে রাজি নই, এটা হতেই পারে না।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মূল চ্যালেঞ্জগুলো কী কী? বিএনপি যদি ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারে সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবে?

মির্জা ফখরুল : প্রধান চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটা স্টেবল জায়গায় নিয়ে আসা। বিগত সরকার যেভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, ব্যাংকিং সিস্টেম ধ্বংস করেছে, লুটপাট হয়েছে, বাইরে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে এবং বিনিয়োগের জায়গাগুলো বন্ধ করে ফেলেছে-এই জায়গাগুলোকে এই সরকার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। সেটাকে আমরা আরো ভালো করতে চাই। আমরা বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বাড়ানোর চেষ্টা করব অবশ্যই।

প্রশ্ন : বিএনপির বাইরে এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে পিআর সিস্টেমসহ আরো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে অনেকটা একরোখা মনোভাব পোষণ করছে, এর সমাধান কোথায়?

মির্জা ফখরুল : নির্বাচন কেন্দ্রিক দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলা পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর ক্যারেক্টর। তবে তারা যে দাবিগুলো তুলছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা কঠিন ব্যাপার। কারণ, কিছু দাবির প্রতি আমাদের জোর আপত্তি রয়েছে। যেমন- পিআরের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার- পিআর সিস্টেমে আমাদের দেশের জনগণ অভ্যস্ত নয়, এটার জন্য প্রস্তুত নয়। সুতরাং আমরা এটা মেনে নিতে রাজি নই।

প্রশ্ন : বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিভাবে একত্রিত রাখবে?

মির্জা ফখরুল : ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শক্তি তো যারা আন্দোলন করেছে, তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যেই থাকবে। একত্রিত তারা থাকবে; এটাই তো স্বাভাবিক। তাছাড়া গণতন্ত্রের চর্চা করলেই সেটা থাকবে। আমি যদি গণতান্ত্রিক চর্চাটা করি, গণতন্ত্রের নীতিগুলো মেনে চলি, ইনস্টিটিউশনগুলোকে যদি ডেভেলপ করি, তাহলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবো।

প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে একসময় বিএনপির খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল এবং একসময় জোট ছিল। এখন সম্পর্কের দূরত্ব কী নিয়ে?

মির্জা ফখরুল : রাজনীতিতে পার্মানেন্ট জোট বলতে কিছু থাকে না, পার্মানেন্ট বন্ধুত্ব বলতে কিছু থাকে না। একেকটা সময় রাজনীতির বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতার ওপর নির্ভর করে যে, তার রাজনৈতিক মিত্র কে হবে, অথবা কে হবে না। অ্যালায়েন্স হয় এবং নির্বাচনের সময় কোয়ালিশন হয়। তো সেটা আগে ছিল। এই মুহূর্তে সেটা দৃশ্যমান নয়। মতের মিল না হলে এটা তো হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাছাড়া সম্পর্ক খারাপ কই? একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক যেমন থাকা উচিৎ জামায়াতের সঙ্গেও বিএনপির তেমনই আছে।

প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি জোট গঠনের কথা বলছে। বিষয়টিকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ মনে করে কিনা?

মির্জা ফখরুল : আমরা কোনোটাকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। এবার নির্বাচনে আমরা একটা ল্যান্ডস্লাইড বিজয় পাব, ইনশাআল্লাহ। কারণ আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। অতীতে দল হিসেবে আমাদের দেশ চালানোর পজিটিভ রেকর্ড আছে।

প্রশ্ন : জাতীয় সরকারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিএনপি, তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতটুকু?

মির্জা ফখরুল : এটা ডিপেন্ড করবে নির্বাচনের পর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মতামতের ওপর। তবে আমরা স্টিল স্টিক টু আওয়ার কমিটমেন্ট।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?

মির্জা ফখরুল : এটা আমি ঠিক এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে রাজি নই। কারণ এই দলটির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে, সেটা উইথড্র হলে যে সিচুয়েশন তৈরি হবে, সেটার উপর নির্ভর করবে। তবে আমি মনে করি, উইথড্র হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া এবং আগামীর রাজনীতি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?

মির্জা ফখরুল : আওয়ামী লীগ তো নিজেরাই নিজেদের বিলীন করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে তাদের আর কোনো জায়গা আছে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং তাদের ফের রাজনীতিতে ফিরে আসা সহজ হবে না। আর যে রাজনৈতিক দল গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে, সিরিয়াসলি বিচার হতে হবে।

প্রশ্ন : আলোচনা রয়েছে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে এগোচ্ছে, আপনার কী মনে হয়?

মির্জা ফখরুল : না, না, সেটা আমি মনে করছি না। বরং এর মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে যতটা সম্ভব, সেটা তারা করছে। ট্রাইব্যুনালও বাড়িয়েছে, ফলে বিচার কাজ দ্রুতই এগোচ্ছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে, বিচার কাজ সম্ভবত শেষের দিকে চলে এসেছে।

প্রশ্ন : এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কেমন?

মির্জা ফখরুল : ভারতের সঙ্গে বরাবরই আমরা চেয়েছি একটা ফাংশনাল রিলেশনশিপ। সৎ প্রতিবেশীর মতো একটা আচরণ ভারত করবে। অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে যে সমস্যাগুলো আছে, সেই সমস্যাগুলো সমাধানে তারা পজিটিভভাবে পদক্ষেপ নেবে। যেমন পানি সমস্যা আছে, এটার সমাধান হয়নি। বর্ডারে যে হত্যা, এটা বন্ধ করার জন্য আমাদের অনেক বেশি সচেষ্ট থাকতে হব। সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যালেন্স, সেটাকে দূর করার জন্য আমরা অবশ্যই চিন্তা করব।

সমস্যা হচ্ছে ভারতের হস্তক্ষেপ। ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করে, সেটাই আমরা চাইব।

 

সূত্র : বাসস