প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর বাস্তব সংখ্যাটা সরকার লুকাতে চাইছে। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে সরব হয়ে উঠলেন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল হই-হট্টগোলের জেরে কার্যত শিকেয় উঠল অধিবেশন। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি -সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির গলায় শোনা গেল একটাই সুর, ‘কুম্ভ পে জবাব দো’।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দাবি মৃতের সংখ্যা ৩০। তবে বেসরকারি মতে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর বাস্তব সংখ্যাটা শতাধিক। বিরোধী সাংসদরা এই ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
নিহতদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করার দাবিও জানানো হয়েছে। তথ্য প্রকাশের দাবিতে বিরোধী শিবির রীতিমতো হই-হট্টগোল শুরু করেন তখন তাদের শান্ত হওয়ার আবেদন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এই ঘটনায় রীতিমতো রুষ্ট হন স্পিকার ওম বিড়লা। টেবিল চাপড়ে স্লোগান দিতে থাকা অসমের কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যুত বরদোলোইকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ আপনাকে সংসদে প্রশ্ন করতে পাঠিয়েছেন। এখানে টেবিল ভাঙবেন না। আর যদি সেটাই করতে চান, তাহলে আরও জোরে আঘাত করুন। যাতে টেবিল ভেঙে যায়।
স্পিকার এরপরে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ অলোক শর্মাকে তার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান, সেইসময়েও বিরোধীদের স্লোগান এবং চিৎকার চলতে থাকে। অসন্তুষ্ট হয়ে স্পিকার ওম বিড়লা তার হেডফোনটি খুলে ফেলেন। রাজ্যসভার সাংসদরাও এই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু করেন। কংগ্রেসের প্রমোদ তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টার জন্য ওয়াক আউট করেছি। আমরা আবার ফিরে গিয়ে এই প্রসঙ্গটি তুলব। আমরা জানতে পেরেছি দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা জানতে চাই যদি ৩০ জন মারা গিয়ে থাকেন তবে সরকার কেন সেই ৩০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করছে না।’
সূত্র: এনডিটিভি