আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় দেশ সোমালিয়ায় বেশ সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এসব হত্যাকারীরা গুহায় লুকিয়ে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের হুমকি দিচ্ছে। এসব হামলায় ওই গুহাগুলোই ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না করেই লুকিয়ে থাকা অনেক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে।’
সোমালিয়ায় লুকিয়ে রয়েছে ইসলামিক (আইএস) স্টেটের একজন কুখ্যাত পরিকল্পনাকারী ও অন্যান্য সদস্য। তাদের নির্মূলের উদ্দেশ্যে এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, দেশের উত্তরে আইএস নেতাদের লক্ষ্য করে মার্কিন বিমান হামলার বিষয়টি সম্পর্কে তারা আগে থেকেই অবগত ছিলেন।
হামলায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। আইএসের কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর হামলা হয়েছে পোস্টে তার নাম বলেননি ট্রাম্প। তার পোস্ট শেষ হয়েছে কড়া হুমকি দিয়ে, “আইএস এবং আমেরিকানদের ওপর আক্রমণকারী সকলের প্রতি বার্তা হলো- আমরা তোমাদের খুঁজে বের করে হত্যা করবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, গোলিস পর্বতে এই হামলা চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অসংখ্য জঙ্গি সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরলস সমর্থন জোগানোর জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষত ইরাক ও সিরিয়ায় গত দশকে আইএসের উত্থান হয়। তবে এখন আফ্রিকার কিছু অংশে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিস্তার ঘটেছে। আইএসের সোমালিয়া শাখা গঠিত হয় ২০১৫ সালে। আল–কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল–শাবাব গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে কয়েকজন আইএসের সোমালিয়া শাখা গড়ে তোলেন। আল–শাবাব সোমালিয়ার সবচেয়ে বড় জিহাদি গোষ্ঠী।
সূত্র : বিবিসি