Image description
 

চীনের বৈদেশিক হিসাব সংক্রান্ত সাম্প্রতিক তথ্য একটি ধাঁধার সৃষ্টি করেছে। বছরের প্রথম ১১ মাসে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রেকর্ড ভেঙে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেলেও, সরকারি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি তুলনা মূলকভাবে কম রয়েছে। এই বৈপরীত্য থেকেই মূল প্রশ্ন উঠেছে যে, এই উদ্বৃত্ত অর্থ কোথায় গেল?

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের বাণিজ্য থেকে অর্জিত আয়ের একটি বড় অংশ বিদেশে ফিরে যাচ্ছে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে, যার বেশির ভাগই পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি খাতের উদ্যোগে। এর ফলে শীর্ষ বাণিজ্য পরিসংখ্যানগুলোর তুলনায় চীনের বৈদেশিক হিসাব অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দেখাচ্ছে।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি শাংহাইয়ের কোয়ান্টিটেটিভ ফাইন্যান্স মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্যাপস্টোন পরিচালক হান শেন লিন বলেন, এখন আর বাণিজ্য উদ্বৃত্ত মানেই যে সরকারি রিজার্ভ বাড়বে, তা নয়। তিনি জানান, এর একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে জমা না হয়ে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহৃত হচ্ছে। লিনের ভাষায়, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এই আয় ব্যবহার করছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ, বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলা কিংবা আয় বিদেশেই রেখে দেওয়ার কাজে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যা দেখছি, তা হলো রাষ্ট্রনির্ভর রিজার্ভ সঞ্চয় থেকে বাজারনির্ভর মূলধন বহির্প্রবাহে একটি রূপান্তর। অর্থ হারিয়ে যায়নি; এটি শুধুমাত্র পিপলস ব্যাংক অব চায়নার হিসাব খাতাটিতে অনুপস্থিত।’ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশে উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির বেসরকারি খাতের ভূমিকাও বেড়েছে। দেশের ভেতরে মুনাফার হার কমে যাওয়া এবং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার ফলে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান বিশ্বজনীন নতুন বাজারের সন্ধানে এগোচ্ছে। সূত্র: ইনকিলাব