দুই দেশের সীমান্তে টানা উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। ‘তাৎক্ষণিক’ এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। নতুন সমঝোতা অনুযায়ী আজ দুপুর থেকেই সব ধরনের হামলা বন্ধ থাকবে, বেসামরিক এলাকা থেকে শুরু করে সামরিক লক্ষ্যবস্তু সবখানেই হামলা বন্ধ রাখবে দুই দেশ। খবর ডয়চে ভেলে
কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে দেশটির স্পেশাল জেনারেল বর্ডার কমিটির প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই সমঝোতা কার্যকর হবে। এতে বলা হয়েছে, সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা তথা বেসামরিক, বেসামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামোসহ যে কোনও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ বন্ধ থাকবে।
এর আগে চলতি ডিসেম্বরে শুরুর দিকে নতুন করে সীমান্ত উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা এলো। সংঘাতে ইতোমধ্যে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তিতে সই করেছেন থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাথাফন নাকরফানিত এবং কম্বোডিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টিয়া সেইহা।
যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুই পক্ষই বর্তমান সৈন্য মোতায়েন বজায় রাখবে, তবে আর নতুন করে কোনও বাহিনী এগিয়ে আনা হবে না’। তাদের মতে, অতিরিক্ত বাহিনী আনা হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মূলত এই যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে টানা ২০ দিনের লড়াই শেষ হলো। এই লড়াইয়ে কমপক্ষে ১০১ জন নিহত এবং দুই দেশের মিলিয়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দুই দেশ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত নিয়ে বিরোধে জড়িত। ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ায় ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে ফরাসি মানচিত্রকাররা এই সীমান্ত নির্ধারণ করেছিলেন।