Image description

উইঘুরদের বিরুদ্ধে সংঘটিত বলে অভিযোগ থাকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্থানগুলোতে ভিডিও ধারণ করার পর নিজের দেশ ছেড়ে যাওয়া এক চীনা নাগরিক এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

তার মা এক সাক্ষাৎকারে জানান, ৩৮ বছর বয়সী গুয়ান হেংকে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্তৃপক্ষ আটক করার পর সোমবার নিউইয়র্কে তার অভিবাসন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই মামলার পরিণতিতে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আবার চীনে ফিরে যেতে পারেন।

চীনা ভাষায় এএফপিকে গুয়ানের মা লুও ইউন বলেন, ‘আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন—তাকে যদি ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার জন্য পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হবে। যদি তার যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে, অন্তত সে নিরাপদ থাকবে।’ 

তিনি বলেন। ‘আমি ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মর্মাহত।’

গুয়ানের আইনজীবী চেন চুয়াংচুয়াং জানান, সোমবারের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির তারিখ জানুয়ারিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

একজন বিচারক গুয়ানকে তার আশ্রয় আবেদনের জন্য উগান্ডায় পাঠানো উচিত কিনা তা বিবেচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ব্যক্তিদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে।

তবে চেন এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন। তার যুক্তি, সেখানে পাঠানো হলে গুয়ানকে আবার চীনে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কা রয়েছে।

টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশনের এক বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে যে, গুয়ানকে যদি চীনে ফেরত পাঠানো হয়, তিনি ‘সম্ভাব্যভাবে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তাকে আশ্রয়ের স্থানে থাকার প্রতিটি সুযোগ দেওয়া উচিত।’

২০২১ সালের শেষদিকে গুয়ান একটি ২০ মিনিটের ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তিনি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে তার ভ্রমণের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ওই ভিডিওতে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত স্থানগুলো পরিদর্শন করছিলেন। 

অভিযোগ রয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে (বন্দিশিবির) আটকে রেখেছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন পণ্য উৎদপাদন করানো হয়। কিন্তু তাদের না আছে কোনো স্বাধীনতা, কিংবা অবসর। একইসঙ্গে চীনা শিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জোরপূর্বক কমিউনিস্ট জনগণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।