ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে এখন থেকে বহু সরকারি কাজে নাগরিকদের স্ব-নিশ্চিত দলিলই যথেষ্ট হবে, যা সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন এবং প্রশাসনিক জট কমাতে ভূমিকা রাখবে। এই পরিবর্তনগুলো ‘জন বিশ্বাস বিল’-এর অংশ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে যখন বিশ্বাসের সংকট তৈরি হয়, তখন ভারত আস্থা ও আশার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। পূর্ববর্তী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা করে মোদি জানান, আগের প্রশাসন জনগণকে বিশ্বাস করত না, কিন্তু বর্তমান সরকার সেই প্রবণতা ভেঙে দিয়েছে। এখন নাগরিকের নিজের দেওয়া নিশ্চয়তাই গ্রহণযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের ২৩তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো জনগণের ওপর তার আস্থা। মোদি আরও জানান, আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যন্তাঞ্চল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক মানসিকতা দূর করতে হবে।
অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, হকার এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ৩৭ লাখ কোটি রুপির ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, এখন মাত্র ১ হাজার রুপি প্রয়োজন হলেও তা কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে—এটাই এমন এক শাসনব্যবস্থা যা তার নাগরিকদের বিশ্বাস করে।
মোদি আরও বলেন, “দেশের মানুষের সমর্থন ছাড়া এটি সম্ভব নয়। আমাদের কারও পথ অনুসরণ করতে হবে না; বরং নিজস্ব পথ তৈরি করতে হবে। সব বাধা উপেক্ষা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
সূত্র: এনডিটিভি