ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য জানিয়েছেন। রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি নিয়ে রাশিয়া নতুন করে ভাবছে না বলেও জানান তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এর আগে গতকাল বুধবার ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এ যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর উচ্চ শুল্ক ও আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হলো।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। তবে সেই আলোচনা হবে সমানে সমান, সেই আলোচনা হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ। আমরা বার্তার অপেক্ষায় রয়েছি। এখনো সেই বার্তা আসেনি।’
বুধবার ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে বলেন, ‘আমি রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি, যার অর্থনীতি ব্যর্থ হচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন, একটি খুব বড় অনুগ্রহ। (যুদ্ধ) এখনই মীমাংসা করুন এবং এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ করুন! এটি আরও খারাপ হতে চলেছে। যদি আমরা একটি চুক্তি না করি, আমাদের কাছে বিক্রি করা যেকোনো কিছুর ওপর উচ্চ স্তরের কর, শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।’
এ ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ট্রাম্প এভাবেই কথা বলেন। প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময়ও তিনি এভাবেই কথা বলেছিলেন।’
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে একদিনের মধ্যেই মীমাংসার জন্য আলোচনা করবেন। এবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে মস্কোর জন্য সুযোগ আছে।
পুতিন বারবার বলেছেন, তিনি ২০১৪ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার আঞ্চলিক লাভের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তিনি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অনুমতি দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কিয়েভ নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে দিতে চায় না, যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, তাঁকে বর্তমানে কিছু দখলকৃত জমি সাময়িকভাবে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
এ অবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি ‘খুব শিগগিরই’ পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ‘সম্ভবত’ মনে হচ্ছে যে, রাশিয়ান নেতা আলোচনার টেবিলে না এলে তিনি আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।