ট্রেনে আগুন আতঙ্ক। ভয়ে ট্রেন থেকে লাইনে লাফ দেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তখনই অপরদিক থেকে আসা অন্য একটি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ যাত্রীর। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
বুধবার এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলগাঁও অতিক্রমকারী লখনউ থেকে মুম্বাইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে ছড়ায় তারপরই আতঙ্কের জেরে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তখন উল্টোদিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস যাত্রীদের ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলেই কমপক্ষে আট যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দেশটির কেন্দ্রীয় রেলওয়ের প্রধান মুখপাত্র স্বপ্নিল নীলা জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনে আগুন আতঙ্কে কেউ চেন টানায় পরধাদে স্টেশনের কাছে পুষ্পক এক্সপ্রেস দাঁড় করানো হয়। তখন অনেক যাত্রী হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পাশের রেললাইনে চলে যান।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সম্ভবত ব্রেক বাইন্ডিংয়ের ফলে পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে পুষ্পক এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ‘আগুন আতঙ্কে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ৩০-৩৫ জনকে ধাক্কা মেরেছে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।’
অনেকে অভিযোগ করছেন, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের চালক কোনও হর্ন দেননি। হর্ন দিলে হয়তো দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।