Image description

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিন্ধু অঞ্চল আজ ভারতভুক্ত না থাকলেও, সীমানা বদলাতে পারে এবং অঞ্চলটি ভবিষ্যতে আবার ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে।

সিন্ধু নদীর আশপাশের অঞ্চলে অবস্থিত সিন্ধু প্রদেশ, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পাকিস্তানের কাছে যায় এবং সেখানে বসবাসকারী সিন্ধি জনগণ ভারতে চলে আসে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষত এল কে আদভানির প্রজন্মের নেতারা, কখনোই সিন্ধ অঞ্চলের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মেনে নেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি এটাও উল্লেখ করতে চাই যে লালকৃষ্ণ আদবানি তার একটি বইতে লিখেছেন, সিন্ধি হিন্দুরা—বিশেষত তার প্রজন্মের মানুষ—আজও সিন্ধের বিচ্ছিন্ন হওয়া মেনে নেননি।

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু সিন্ধু নয়, সমগ্র ভারতেই হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করতেন যে এ নদীর পানি মক্কার আবে-জমজমের পানির চেয়ে কোনো অংশে কম পবিত্র নয়। এটি আদবানি জির উদ্ধৃতি।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষায়, ‘আজ সিন্ধুর ভূমি ভারতের অংশ না হলেও, সভ্যতার দৃষ্টিতে সি্নধু সর্বদাই ভারতের অংশ।

 
আর ভূমির ব্যাপারে বলতে গেলে—সীমানা বদলাতে পারে। কে বলতে পারে, আগামী দিনে সিন্ধু আবার ভারতের কাছে ফিরে আসবে না? আমাদের সিন্ধুর মানুষ, যারা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করেন, তারা সবসময়ই আমাদের। তারা যেখানেই থাকুন না কেন, তারা আমাদেরই।’

মরক্কোতে ২২ সেপ্টেম্বর প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় সিং বলেন, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ না নিয়েও ভারত পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদী, কারণ সেখানে বসবাসকারী মানুষ নিজেরাই দখলদারদের থেকে স্বাধীনতার দাবি তুলতে শুরু করেছে।

সিংহ বলেন, ‘পিওকে নিজে থেকেই আমাদের হবে। পিওকেতে দাবিদাওয়া তোলা শুরু হয়ে গেছে, আপনারা নিশ্চয় স্লোগান শুনেছেন।’

ভারতের সন্ত্রাস-অবকাঠামো ও তাকে সমর্থনকারী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালে কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন, ভারত যদি আরো অগ্রসর হত, তবে পিওকের ভেতরে প্রবেশ করে ভারতের অধিকারের ভূখণ্ড সুরক্ষিত করতে পারত।

সূত্র : এনডিটিভি