Image description

বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মাঝেই ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম এবং এক্সক্যালিবার গাইডেড আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

ভারত সরকারের অনুরোধে মোট ২১৬টি এক্সক্যালিবার ট্যাকটিক্যাল প্রজেক্টাইল এবং ১০০টি জ্যাভলিন মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা হবে। নতুন এই অস্ত্রভাণ্ডারের রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তামূলক পরিদর্শনসহ নানা রকম প্রশিক্ষণও দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

আমেরিকার ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি বা ডিএসসিএ দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অস্ত্র বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছে। অবশ্য এই অস্ত্র বিক্রির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

অস্ত্রগুলো যেভাবে কাজ করে

জ্যাভলিন একটি অত্যন্ত উন্নত মানের ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার। এছাড়াও বাংকার ধ্বংস করার কাজেও ব্যবহৃত হয় জ্যাভলিন । এটি খুব সহজেই বহন করা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে বহন করে সেনা সদস্যরা এটি পরিচালনা করবেন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে আবার নিরাপদ দূরত্বে সরেও আসাতে পারবেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজে থেকেই টার্গেটে পৌঁছিয়ে যাবে।

১৯৯৬ সাল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আসছে মার্কিন সেনাবাহিনী। বর্তমানে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের মিত্রদেশগুলোর সেনাবাহিনীর হাতে ৫০ হাজারেরও বেশি 'জ্যাভেলিন' ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত নিজেও এই একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করার পরিকল্পনা নিয়েছে, তবে এখনো তা পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

এক্সক্যালিবার প্রোজেক্টাইল এক অত্যাধুনিক কামানের গোলা। এটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। গোলাটির লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষেত্রে ভুলের মাত্রা মাত্র দুমিটার। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক ক্ষতির পরিমাণ খুব কম হবে।

ভারত ইতোমধ্যেই তার এম-৭৭৭ হাউইৎজার বন্দুকে এক্সক্যালিবার রাউন্ড ব্যবহার করে থাকে। হাউইৎজার কামান থেকে এই গোলা ছোড়া হলে মোটামুটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে এক্সক্যালিবার। তাই নতুন লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম না কিনেও ভারত এক্সক্যালিবার ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এই গোলা নিখুঁত আঘাত হানতে সহায়ক হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছর গোড়ার দিকে ঘোষণা করেছিলেন যে দুটি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও বাড়বে। যদিও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার কারণে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য প্রবেশের ওপর উচ্চ শুল্কও আরোপ করে রেখেছেন।
সূত্র: বিবিসি।