ভেনিজুয়েলার নোবেল বিজয়ী ও বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো নরওয়েতে শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করতে গেলে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বৃহস্পতিবার এএফপিকে জানিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলায় লুকিয়ে আছেন দাবি করা মাচাদো ডিসেম্বরের ১০ তারিখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওসলো যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাআব বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার বাইরে থাকায় এবং তার বিরুদ্ধে বহু ফৌজদারি তদন্ত থাকার কারণে, তাকে পলাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়,’ তিনি যোগ করেন যে মাচাদোর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের কার্যকলাপ, ঘৃণা উদ্রেক, সন্ত্রাসবাদ’-এর অভিযোগ আছে।
সাআব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিবিয়ানে সামরিক বাহিনী মোতায়েনকে সমর্থন করায় মাচাদোর বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্তও চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকবিরোধী অভিযানের উদ্দেশ্য দেখিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছেন। কিন্তু ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, এ পদক্ষেপ তার বামপন্থী সরকারকে উৎখাত করার জন্য।
নোবেলজয়ী মাচাদো এই সামরিক উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন—যা ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবাহী নৌকায় হামলায় অন্তত ৮৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছে—এবং তিনি ওয়াশিংটনের সেই দাবিকেও সমর্থন করেছেন যে মাদুরো একটি মাদকচক্রের প্রধান।
কারাকাস এই নৌ-হামলায় নিহতদের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছে।
মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে মাচাদো বলেন, ভেনিজুয়েলা ‘এক নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে’।
ট্রাম্প বলেছেন, মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে এবং তিনি ভেনিজুয়েলায় সিআইএর গোপন অভিযান অনুমোদন করেছেন।