ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার সংসদ সদস্য সঞ্জয় রাউত বলেছেন, সব বাংলাদেশিকে (ভারত থেকে) বের করে দেওয়া উচিত। আর এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। যাতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুই আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এর কারণ, মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন। যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, তখনই বিজেপি আমাদের থামিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা বলে। ১০ দিন আগে তারা লাভ জিহাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে সাইফ আলি খানকে। আর এখন তারা তাকেই নিয়ে উদ্বিগ্ন।
মুম্বাই পুলিশ বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী একজন ‘বাংলাদেশি’ বলে সন্দেহ পোষণ করার পর সঞ্জয় রাউত তার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
সঞ্জয় রাউত বলেন, কে বলেছে হামলাকারী বাংলাদেশি? বিজেপি? তারা দাবি করছে, সাইফ আলি খানের ওপর হামলা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রটা আসলে কী?’ একজন অভিনেতার ওপর হামলা হয়েছে। জনগণকে সত্যটা বলা উচিত। যদি তিনি (হামলাকারী) বাংলাদেশি হন, তাহলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায় এবং এ জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সাইফ আলি খানের ছেলের নাম তৈমুর। তাদের (বিজেপি) লোকজন তাকে নিয়েও বাজে সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব তথ্য পেয়েছেন। এখন তৈমুর হয়ে উঠেছে তাদের ভালোবাসার প্রতীক।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলা হয়। ওইদিন বান্দ্রায় তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় তার ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে ছুরিকাঘাত করা হয়। মুম্বাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক যুবককে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে। পুলিশের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, শেহজাদ চুরি করার উদ্দেশে সাইফ আলি খানের বাসভবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু বাড়িতে সাইফ আলি খান উপস্থিত থাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করেন শেহজাদ। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে।