দখলদার ইসরায়েলের হাতে সোমবার (২৭ অক্টোবর) একটি কফিন হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই কফিনে ছিল এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের অবশিষ্ট অংশ। এর কিছু অংশ ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা থেকে উদ্ধার করেছিল ইসরায়েলি সেনারা।
তবে নতুন কোনো জিম্মির মরদেহ না দিয়ে পুরোনো এক জিম্মির দেহাংশ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, হামাস এভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জরুরি বৈঠকে বসেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকেই হামাস তা লঙ্ঘন করছে। তাই এর প্রতিক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তেলআবিব।
তবে সমালোচকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহেই ইসরায়েল নিজেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী মিসর-গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও, এখনো সেটি বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল।
গতকাল ফেরত দেওয়া মরদেহের অংশটি ইসরায়েলি নাগরিক অফির তাজাফাতির। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা তাকে আটক করে। এক মাস পর ইসরায়েলি সেনারা তার মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, যা পরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সমাহিত করা হয়। নতুন করে তার মরদেহের বাকি অংশ ফেরত আসায় ইসরায়েলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।