
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহমিনা আহমদ ব্রিটেনে অসাধারণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। বিশ্বখ্যাত কুইনমেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন তিনি।
গতবছর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রিতেও তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ডিগ্রির প্রতিটি একাডেমিক বর্ষে তার গড় মার্কস ছিল ফার্স্ট ক্লাসের ওপরে। তাছাড়া প্রতি বর্ষে কয়েকটি সাবজেক্টে তিনি তার ডিপার্টমেন্টের মধ্যে অত্যন্ত উঁচু ও রেকর্ড পরিমাণ মার্কস পেয়েছিলেন।
তাহমিনা তার ডিগ্রির প্রথম বর্ষে ইকোনোমিকস ফর বিজনেস বিষয়ে মার্কস পেয়েছিলেন ৯০ শতাংশ, ফান্ডামেন্টালস ফর বিজনেস স্টাডিজ অ্যান্ড স্কিলস মডিউলে পেয়েছিলেন ৯৮, ৮৬.৬ ও ৮১ শতাংশ এবং কারেন্ট চ্যালেঞ্জ ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে গ্রোপ প্রেজেন্টেশনে পেয়েছিলেন ৮০ শতাংশ। দ্বিতীয় বর্ষে বিজনেস ল’তে পেয়েছিলেন ৮৪.৯ শতাংশ এবং অপারেশন্স ম্যানেজমেন্টে পেয়েছিলেন ৮১ শতাংশ।
তৃতীয় ও শেষ বর্ষে ম্যানেজিং ডাইভার্সিটি বিষয়ে মার্কস পেয়েছিলেন ৭৯ শতাংশ, স্ট্র্যাটিজিক অ্যানালাইসিস অ্যান্ড প্র্যাকটিস সাবজেক্টে পেয়েছিলেন ৮৩ শতাংশ ও এমপ্লয়মেন্ট রিলেশন্সে পেয়েছিলেন ৯০ শতাংশ।
তিনি ব্রিটেনের প্রথিতযশা আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, স্বনামধন্য লেখক ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের টানা তিন টার্মের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও সালমা আহমদের তৃতীয় সন্তান।
ছোটবেলা থেকে প্রখর মেধাবী, প্রচন্ড পরিশ্রমী ছাত্রী তাহমিনা আহমদ। তাহমিনা আহমদ বলেন, “প্রথমেই শুকরিয়া জানাচ্ছি মহান আল্লাহপাকের প্রতি। এরপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার শ্রদ্ধেয় পিতামাতা ও শিক্ষকমন্ডলী ও বড় বোনদের প্রতি যাদের সাপোর্ট, সহায়তা ও গাইডেন্স আমাকে এই ফলাফল আনতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি আলোকিত সমাজ ও কমিউনিটি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।”
তাহমিনার স্বপ্ন ভবিষ্যতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বা ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসের উচ্চ পর্যায়ে কাজ করা অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করা। তিনি সবার দোয়া প্রার্থী।