Image description

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, গাজা সংক্রান্ত চুক্তি ভাঙলে হামাসকে নির্মূল করা হবে। তবে তারা নিজেদের পরিবর্তনের একটি সুযোগ পাবে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার এএফপির প্রতিবেদেন এ তথ্য জানানো হয়।

হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবেনিসকে আতিথ্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা হামাসের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছি। আশাকরি তারা শান্ত ও স্থির থাকবে, ভদ্র আচরণ করবে।'

তিনি বলেন, 'আর যদি তা না করে, প্রয়োজন হলে আমরা গিয়ে তাদের নির্মূল করব। তারা নিশ্চয়ই জানে, এমনটা করলে কী ঘটবে।'

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গাজা চুক্তি করাতে ট্রাম্পের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তবে ওই চুক্তিটি বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। কারণ ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস মৃত অপহৃতদের ফিরিয়ে দিতে জোর করছে এবং কখনও কখনও হামলা চালাচ্ছে।

হামাসও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। যুদ্ধ বিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে। সেই হামলার ঘটনায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাসের শীর্ষ মুখপাত্র খেলিল আল-হাইয়া মিশরের আল-কাহেরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তারা এখনও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আজ সকালে সম্প্রচারিত মন্তব্যে তিনি বলেন, 'মরদেহ বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা সিরিয়াস এবং সেগুলো উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'গাজা চুক্তি টিকবে, কারণ আমরা চাই এবং সেটাই আমাদের দৃঢ় ইচ্ছা।'

তবে ট্রাম্প জাতীয় বাহিনী নিয়ে হামাসের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ানোর সম্ভাবনা অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের গঠিত আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনীতে অংশগ্রহণকারীরা গাজার ভিতরে ঢুকলে 'খুশি' হব। পাশাপাশি আমি বললে দুই মিনিটের মধ্যে ইসরায়েল ঢুকবে। কিন্তু এখনো আমরা সেটা বলিনি। আমরা একটু সুযোগ দিচ্ছি। আশা করি সহিংসতা কমে যাবে।

'তারা বেশ দুষ্টুমি করেছে, যে কাজগুলো করা উচিৎ ছিল না সেগুলো করেছে। আর যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা ঢুকব এবং সেটা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করব,' বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, হামাস এখন অনেক দুর্বল। বিশেষ করে তাদের আঞ্চলিক সহযোগী ইরানের সহায়তার সম্ভাবনা কমে গেছে। কারণ চলতি বছরে মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সক্রিয় সহযোগিতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, 'তাদের প্রতি আর কারো প্রকৃত সমর্থন নেই। তাই তাদের শান্ত ও স্থির থাকতে হবে, আর না হলে তারা নির্মূল হবে।'

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছু সময় পর ভাইস-প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স ইসরায়েলে যান। সেখানে তিনি দুই উচ্চপদস্থ আমেরিকান কুটনীতিকের সঙ্গে যোগ দেন।

তবে ভ্যান্স ও তার স্ত্রী উষা সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, তাদের নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল।