
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের শুরুর দিক থেকেই জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপির মধ্যে একটি ভালো বোঝাপড়া বা কেমিস্ট্রি ছিল।
সম্প্রতি এক টকশোতে তিনি বলেন, “এই দল (এনসিপি) গঠনে জামাত ভূমিকা রেখেছে। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামাত জনবল দিয়ে সহায়তা করেছে। এমনকি জুলাই মাসের পদযাত্রা কর্মসূচিতেও জামাতের অংশগ্রহণ ছিল। এত অল্প সময়ে এনসিপির পক্ষে এত জনবল তৈরি করা সম্ভব ছিল না। এখন একটা প্রোগ্রাম করলে তারা আগের মতো উপস্থিতি দেখাতে পারবে না।”
নুর আরও বলেন, “জামাত বা ছাত্রশিবির কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলেও বাস্তবে তারা এনসিপির সঙ্গে একধরনের বোঝাপড়ায় ছিল। ডাকসু, রাসু বা চাকসু নির্বাচনে এত অল্প সময়ে যে অভ্যুত্থানমূলক নেতৃত্ব তারা দেখিয়েছে, সেটি মূলত জামাত-শিবিরের পুরনো সংগঠনগত শক্তির ওপর নির্ভর করেই সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় তারা এখনো তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত। জামাতের সেই সুযোগ নেই, তাই তারা এনসিপির মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করতে চেয়েছে। তবে জুলাই সনদকে ঘিরে এখন তাদের মধ্যে অবস্থানগত পার্থক্য দেখা দিয়েছে।”
নুরুল হক নুর বলেন, “জুলাই সনদ নিয়ে আমরা সবাইকে ঐকমত্যে আনার চেষ্টা করেছি। নতুন কোনো বিভাজন বা সংকট সৃষ্টি হলে তা দেশকে আরেকটি বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। আমরা সবাই পেছন থেকে অনেক সমন্বয়ের চেষ্টা করেছি যাতে ঐক্য গড়ে ওঠে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “৩১টি দল যখন আলোচনায় বসে, সেখানে দুই-একটি দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিলেও তা চূড়ান্ত ঐকমত্যকে প্রভাবিত করে না। তাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা দলগুলো আলোচনায় থাকতে চেয়েছে, আর জামাতকে সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত রাখার চেষ্টা করেছে। জামাত তো একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল, তারা তাদের স্বার্থে এনসিপিকে ব্যবহার করতে চেয়েছে।”