
সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাগরিকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছেন, লন্ডনের কিছু এলাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশীরা ইংরেজি বলতে পারে না, যা তিনি ‘লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তাই বাংলাদেশী কমিউনিটির সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বরিস জনসন বলেন, আমার শাসনামলে দেখেছি, লন্ডনের কিছু অংশে বাংলাদেশি কমিউনিটির দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্ম ইংরেজিতে কথা বলত না। সেটা ছিল লজ্জাজনক। তার এমন বক্তব্যের পর থেকে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
বরিস জনসনের এমন মন্তব্যকে ‘মিথ্যা, অপমানজনক ও বর্ণবাদী মানসিকতার প্রতিফলন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে জন্ম ও বেড়ে ওঠা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে ইংরেজিই একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তাই তাদের ইংরেজি না জানার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ব্রিটিশ স্কুলে পড়া কেউ ইংরেজি বলতে পারে না, এমন দাবি মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। এটি কেবল তথ্যগত ভুল নয় বরং একটি কমিউনিটিকে হেয় করার প্রচেষ্টা।