
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মিশরের শার্ম আল-শেখের শান্তি সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের প্রতি তুরস্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বুধবার আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা শেষ পর্যন্ত শার্ম আল-শেখ ঘোষণাকে পূর্ণ সমর্থন করব এবং আমি বিশ্বাস করি যে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারও একই অবস্থান গ্রহণ করবে।”
বুধবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এরদোয়ান বলেন, “গাজার নির্যাতিত জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিটি প্রচেষ্টা আমাদের কাছে মূল্যবান। কেবল ‘তারা যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে’ বলে এটিকে ছোট করে দেখার অধিকার কারও নেই।”
সম্মেলনের পর গাজায় আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পরপরই ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, “তুর্কি জনগণ ভ্রাতৃত্ববোধ ও প্রতিবেশীসুলভতার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। সিরিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা যত গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সমগ্র অঞ্চলের পরিস্থিতিও তত উন্নত হবে।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে তুরস্ক আবারও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সহযোগিতা জোরদারের পক্ষে তার অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে।
উল্লেখ্য, এই মন্তব্য তিনি করেছেন সোমবার মিশরের রিসোর্ট শহর শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের পর। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি নথিতে স্বাক্ষরের জন্য এরদোয়ানসহ ২০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা উপস্থিত ছিলেন।