
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে বাটু পাহাত জেলায় বাংলাদেশিসহ ৩২ অভিবাসীকে আটক করেছে। অভিযানে স্থানীয় খাবারের দোকান, গাড়ি ধোয়ার কেন্দ্র এবং বিদেশি শ্রমিকদের বসবাসের এলাকাগুলোতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টেবর) জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি মোহদ দারুস জানান, এ অভিযানটি ‘অপস সেলেরা’, ‘অপস মিনিয়াক’ ও ‘অপস সাপু’ নামের সমন্বিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়।
গত এক সপ্তাহের ধারাবাহিক গোয়েন্দা নজরদারি এবং জনগণের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় মোট ৯৬ জন বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ৩২ জনকে বিভিন্ন অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের কারণে আটক করা হয়েছে।
অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩ এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে— বৈধ ভ্রমণ নথি বা অনুমতিপত্র না থাকা, অস্থায়ী কাজের অনুমতি অপব্যবহার, বৈধ অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশি নাগরিক ৫, ভারতীয় ৫, পাকিস্তানি ১, মিয়ানমারের ৪ জন পুরুষ ও ১ জন নারী, ইন্দোনেশিয়ার ৮ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে। তদন্ত ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সেতিয়া ট্রোপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
অভিযানের সময় আরও চারজন স্থানীয় ব্যক্তিকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য বোরাং ২৯ (সাক্ষী সমন) প্রদান করা হয়েছে।
দাতুক রুসদি জানিয়েছেন, অবৈধভাবে অবস্থানকারী ও অনুমতি ছাড়া কাজ করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।