
মিশর কর্তৃক আয়োজিত গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইরান। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কেউই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
সোমবার ভোরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি স্পষ্টভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বা আমি কেউই ইরানি জনগণের ওপর আক্রমণকারী এবং আমাদের হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা প্রতিপক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারি না।
সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, মিশর রবিবার সন্ধ্যায় লোহিত সাগরের অবকাশস্থল শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ইরানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
ইরানের এই সিদ্ধান্তের পেছনে সরাসরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ককে দায়ী করা হচ্ছে। গত জুনে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে করা হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সংক্ষেপে যোগ দিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি আরও বলেন, তেহরান ‘গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করার’ এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রক্ষার যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করে। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল অংশ করে তুলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিরতি সুসংহত করা এবং যুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক কাঠামোর রূপরেখা তৈরি করা।
যদিও ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস কেউই সম্মেলনে যোগ দেবে না, তবুও ২০টিরও বেশি দেশের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।